হার্টবিট ডেস্ক
ফায়ার ফাইটার রবিন মিয়ার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দগ্ধদের অবস্থাও শঙ্কাসমুক্ত না।
বুধবার(জুন) চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের সময় কেমিক্যাল থাকা কন্টেইনার বিস্ফোরণে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধ রোগীদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা চিকিৎসকরা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, রবিন নামের একজন দগ্ধকে লাইফ সার্পোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। আগের থেকে ভালো আছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনজন রোগী আইসিইউতে আছে। বাকিরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে আছে। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
ডা.আবুল কালাম বলেন, চট্রগ্রাম থেকে ৬জন রোগীকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধের পাশাপাশি তাদের চোখে সমস্যা হয়েছে। মূলত কেমিক্যাল বার্নের জন্য তাদের চোখে সমস্যা হয়েছে। তাদের চোখ লাল হয়ে গেছে, চোখ খুলতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে না। কত তাড়তাড়ি তারা সুস্থ হয়ে উঠবে বলা সম্ভব না। তবে আমরা আশা করছি দ্রুত তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন বলেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় গতরাতে নতুন একজন রোগী এসেছেন। এখন পর্যন্ত ১৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। এরমধ্যে তিনজন আইসিইউতে রয়েছেন। বাকিরা পোস্টঅপারেটিভ ওয়ার্ডে আছেন। তবে তাদের কাউকে শঙ্কমুক্ত বলা যাচ্ছে না। রোগীদের চোখে জটিলতা রয়েছে। চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক তাদের সার্বক্ষণিক দেখছেন।
ডা.সামন্ত বলেন, ৬জন রোগী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আছেন। সেখান থেকে দুজন রোগী ইনস্টিটিউটে ভর্তি হবে।
Discussion about this post