হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্বে প্রতিদিনই মাংকিপক্সে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগে ৭ শতাধিক মানুষ শনাক্ত হয়েছে বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র- সিডিসি। এর মধ্যে ২১ জনই যুক্তরাষ্ট্রের।
কানাডা জানিয়েছে, দেশটিতে ৭৭ জনকে শনাক্ত করেছে তারা। বেশির ভাগই কুইবেক প্রদেশের। রোগ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সিডিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে মাংকিপক্সে শনাক্তের হার বাড়তে থাকায় বিস্তর পরীক্ষা শুরু করেছে। সিডিসি’র প্রতিবেদনে জানা গেছে, ‘প্রথম ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনই সমকামী। আর ১৪ জনের ভ্রমণ ইতিহাস রয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন অথবা সুস্থ হওয়ার পথে। এদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয়’।
মাংকিপক্স বিস্তারের পেছনে ইউরোপে সমকামী উৎসবের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এই রোগটিকে যৌনবাহিত রোগ বলা হচ্ছে না।
হোয়াইট হাউজের গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ও বায়োডিফেন্স ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক রাজ পাঞ্জাবি বলেন, প্রাথমিকভাবে ১২শ ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যে জায়গাগুলোতে শনাক্ত চিহ্নিত হয়েছে।
ইউরোপের স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, সুইডেন, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডও মাংকিপক্স শনাক্ত করা গেছে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় মাংকিপক্সে শনাক্ত মোকাবিলায় শনাক্তকরণ পদ্ধতি ও টিকা সরবরাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বায়োফার্মাসিউটিক্যাল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।
মাংকিপক্স একটি প্রাণীবাহিত রোগ। এটি অন্য প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।মাংকিপক্সে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। পরিসংখ্যান অনুসারে, স্মলপক্সের টিকা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে কাজ করে।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি
Discussion about this post