হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে যারা দগ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোবাবর (০৫ জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্রান্ড বলরুমে, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্স আয়োজিত এক সায়েন্টিফিক সেমিনারে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০ অধিক দগ্ধ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকাতে দুইজন রোগী চলে এসেছে। আমরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত করেছি। এখানে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারি প্রভাব কমলেও আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়বে। এতে আমাদের কাজ আরও গতিশীল হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নিউরোসার্জারি পরিস্থিতি ভালো আছে। আমাদের অবকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে আমাদের লোকবল, বিশেষজ্ঞ ঘাটতি আছে। দেশে ২১০ জন নিউরোসার্জন আছে, আমাদের প্রয়োজন আরও অনেক বেশি।রোগীদের যেন বিদেশে যেতে না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তাব দিয়েছি, যা বিবেচনাধীন আছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার পাশাপাশি সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। করোনার মধ্যেই ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স ও আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Discussion about this post