হার্টবিট ডেস্ক
দেশজুড়ে করোনা টিকার সপ্তাহব্যাপী বিশেষ বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত এই সাতদিনে এক কোটির বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
শনিবার (৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে এই বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ সপ্তাহ আজ থেকে শুরু হয়েছে। এ সময়ে এক কোটির ওপরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার উপযুক্ত প্রায় চার কোটি মানুষ আমাদের এখনো অপেক্ষমাণ রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৬২৩টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৫ হাজার ৫৫৮টি। বুস্টার ডোজ সপ্তাহ চলাকালে একযোগে ৪৫ হাজার ৫৩৫ জন টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
যেসব অস্থায়ী কেন্দ্রে দুদিন টিকা দেওয়া হবে সেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার তারিখ স্থানীয় পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব সব নাগরিক তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।
অধিদপ্তর জানায়, সব টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য আপনার টিকা কার্ডটি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসবেন। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন একটি কার্যকর সমাধান। কোভিড ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ সুফল পেতে হলে অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নিতে হবে।
Discussion about this post