ডা. মোসা.আফরোজা সরকার জলি
সাধারণত অনেকেই আছেন নিয়ম মেনে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেতে ভুলে যান। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত মেথড হচ্ছে পিল। কিন্তু প্রথম সাইড ইফেক্টই হচ্ছে, পিল খেতে ভুলে যাওয়া বা মিসড পিল।
এ ব্যাপারে ডা. মোসা.আফরোজা সরকার জলি বলেন, আমরা রোগীদেরকে যখন পিলের পাতা দেই, তখন ঠিক করে নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে দিই। প্রথম মাসিকের অন্ততপক্ষে তৃতীয় দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে পিল খাওয়া শুরু করবেন। তারপর প্রতিদিন একই সময় একটা করে পিল খেতে হবে। ২১ দিন খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে। কিন্তু কোনো পিল যদি মিস হয় তাহলে প্রথমেই তাদেরকে আমরা বলে দিই- আপনার যখন প্রথম একদিন মিস হলো, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যখনই মনে পড়বে তখনই খেতে পারবেন। সেই দিনের ডোজটা নির্দিষ্ট সময় খাবে। এটা হচ্ছে একটা পিল মিস হলে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত মাসিকের প্রথম সাত দিনের মধ্যে যদি এরকম একটা পিল মিস হয়, তাহলে যে কোনো সময় খেতে পারে অথবা নির্দিষ্ট সময় খেলেন। কিন্তু কারো যদি দুইটা পিল বাদ পড়ে এবং সেটা মাসিকের সপ্তম থেকে ১৪তম দিনে অথবা ২১তম দিনে হয়, তাহলে সে পিল যখন মনে হবে তখন খাবে। না হলে পরবর্তী দ্বিতীয় দিনে দুইটা পিল একসঙ্গে খাবে এবং তার পরবর্তী সাত দিন অথবা ১৪ দিন পর্যন্ত সে অন্য কন্ট্রাসেপটিভ বিশেষ করে বেরিয়ার মেথড বা কনডম ব্যবহার করবে।
এটা না হলে তারা অনিয়ন্ত্রিত গর্ভ সঞ্চালনের সম্ভাবনা থেকে যায়। আনওয়ান্টেড প্রেগনেন্সি হয়। আনওয়ান্টেড প্রেগনেন্সি থেকে এবরশনের হার অনেক বেশি বেড়ে যায়।
কারো যদি পিল ২১ দিনের পরবর্তী এবং ২৮ দিনের কাছাকাছি সময়ে অথবা শেষের ৭ দিনে কোনো পিল মিস হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে সে পাতাটা ফেলে দিয়ে ওয়েট করতে পারে যে তার মাসিক হয় কি-না। যদি মাসিক হয়, তখন তাহলে সে আবার নতুন পাতা শুরু করবে।
লেখক-ডা. মোসা.আফরোজা সরকার জলি , বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের প্রসূতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
Discussion about this post