হার্টবিট ডেস্ক
সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত মাঙ্কিপক্স রোগীদের ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে তাদের বিষয়ে তথ্য প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (২১ মে) দেশের সকল বন্দর ও আন্তর্জাতিক বন্দর সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সারাবিশ্বে আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স’র রোগী শনাক্ত হয়েছে। মাঙ্কিপক্স নতুন রোগ নয়, তবে পূর্বে এ ধরনের রোগী পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলিতে এন্ডেমিক হিসেবে ধরা হয়। পূর্বে শুধুমাত্র পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলিতে ভ্রমণকারীদের বা বাসিন্দাদের মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি উক্ত দেশসমূহে ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মাঝে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘যে সব রোগীর মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলিতে ভ্রমণ করেছেন, অথবা এমন কোনও ব্যক্তি বা লোকের সাথে যোগাযোগ করেছেন, যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে বা নিশ্চিত বা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন—এমন রোগীদেরকে মাঙ্কিপক্সের জন্য সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে তথ্য প্রেরণ করতে হবে।’
‘এমতাবস্থায় মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে আক্রান্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে’, যোগ করা হয় এতে।
এর অনুলিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিমান বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চট্টগ্রামের বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিলেটের সিভিল সার্জন, আন্তর্জাতিক বন্দর সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন এই ধরনের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সারা পৃথিবীতে এই পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করবো, তাদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত নেবো। এর ভিত্তিতে আমাদের প্রয়োজনীয় যা যা করা জরুরি তা করতেই হবে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অতি সংক্রামক ‘মাঙ্কিপক্স’। আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রেও। দেশটিতে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি সম্প্রতি কানাডা থেকে ফিরেছেন।
করোনা মহামারির মধ্যেই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা যায়। এটি মানুষের গুটিবসন্তের মতো একটি সংক্রমণ। এটি প্রথম ১৯৭০ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে পাওয়া গিয়েছিল।
Discussion about this post