হার্টবিট ডেস্ক
মানুষের জীবনে কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে তা আগে থেকে কেউই জানে না। সেই দুর্ঘটনা যেমন ঘটতে পারে আপনার ঘরে, আবার ঘটতে পারে বাইরেও। ছোট কিংবা বড় কোনো দুর্ঘটনাই আগে থেকে বলে কয়ে আসে না।
এই যেমন ধরুন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ কুকুর কামড়াল। এইটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। যার জন্য আপনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু এর চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে জেনে নেয়া জরুরি। যাতে বড় কোনো বিপদের মুখে না পড়তে হয়।
দেখা যায় কুকুর কামড়ালে চিকিৎসকের কাছে যেতে সময় লাগবে? তা হলে তখনই কী করবেন? আসলে এমন ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত, তা অনেকেরই মাথায় আসে না। সেটাই স্বাভাবিক।
কারণ আগে থেকে এমন পরিস্থিতির কথা কেউ ভেবে রাখেন না। কিন্তু কুকুর কামড়ানোর পরেই কয়েকটি পদক্ষেপ করা জরুরি। কুকুর কামড়ালে র্যাবিস নামক এক ধরনের জীবাণু শরীরে যায়। তার থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছেন, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ জলাতঙ্কে প্রাণ হারান। ফলে কুকুর কামড়ানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে জলাতঙ্কে আক্রান্ত না হয়ে পড়েন।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কুকুর কামড়ালে প্রথমেই কী করবেন-
>> যে অংশে কুকুর দাঁত বসিয়েছে বা আঁচড়েছে, সে জায়গাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। গরম জল ব্যবহার করলে ভালো। তাহলে সব রকম জীবাণু সেখান থেকে ধুয়ে যাবে। পারলে সেখানে একটু অ্যান্টিসেপ্টিক কোনো দ্রব্য লাগান। তারপর অংশটি ব্যান্ডেজ করে রাখুন।
>> বাড়িতে অ্যান্টিসেপ্টিক কিছু না থাকলে গোলমরিচ গুঁড়া লাগাতে পারেন। কষ্ট হবে। কিন্তু বিষ নষ্ট হয়ে যাবে।
>> পেঁয়াজের রস, আখরোট বাটা, মধু আর লবণ দিয়ে একটি পেস্ট বানাতে পারেন। তা ক্ষতের জায়গায় লাগান। তার পর ব্যান্ডেজ করে রাখুন।
>> এক্ষেত্রে সর্ষের তেলও বেশ কার্যকর। ক্ষতস্থানে সর্ষের তেল লাগালে জ্বালা করতে পারে ঠিকই। কিন্তু এতে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা ক্ষত সারাতে সক্ষম।
>> আক্রান্ত স্থানে হলুদ বাটাও দিতে পারেন। এর অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থানের আশপাশে থাকা জীবাণু নষ্ট করে দিতে পারে।
Discussion about this post