হার্টবিট ডেস্ক
গত ১৮ মে শেষ হয়েছে সরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২১-২২ সেশনের এমবিবিএসের ভর্তি কার্যক্রম। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি কার্যক্রম ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে, শেষ হবে ২৮ জুলাই। এ লক্ষ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে আগামী ১৬ জুন। আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হবে ২১ জুন। জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩ জুলাই। এর এক মাস পর ১ আগস্ট শুরু হবে সরকারি-বেসরকারি সব মেডিকেলে ক্লাস।
ভর্তি কার্যক্রম সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য অনুমোদিত মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতাও প্রত্যাশা করে তারা বলেন, না হলে মাঝপথে হোঁচট খাবে স্বপ্নের শিক্ষা কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবীব বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যেখানে ভর্তি হবে, সেই মেডিকেল সম্পর্কে তার যাচাই-বাচাই করা দরকার। শিক্ষার্থী নিজে না বুঝে কোনো মেডিকেলে ভর্তি হবে কেন? এখানে একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধও থাকা দরকার। হঠাৎ করে না বুঝে-না শুনে এক জায়গায় ভর্তি হয়ে গেল। তারপর দেখা গেলো তাকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এটা শিক্ষার্থীর অদূরদর্শিতা বা জ্ঞানের অভাবে এ বিষয়গুলো হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বুঝে-শুনে অনুমোদিত মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবে। যে মেডিকেলে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সেই মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে হবে। মেডিকেলের সুযোগ-সুবিধা কি, এসবও তাদের দেখা উচিত।’
জানা গেছে, দেশের একাধিক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন নেই। কোনোটির বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন থাকলেও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন নেই। তারপরও আদালতের নোটিস দেখিয়ে ওই সব মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীরা মাঝপথে কিংবা এমবিবিএস ফাইনাল প্রফে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেক সময় আন্দোলন-সংগ্রাম করেও এসব শিক্ষার্থী বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন পায় না।
স্থগিত মেডিকেল কলেজসমূহ
শর্ত পূরণ করতে না পারায় এরই মধ্যে একাধিক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো: ১. কেয়ার মেডিকেল কলেজ, ২. আইচি মেডিকেল কলেজ, ৩. নর্দান মেডিকেল কলেজ, ৪. রংপুর নর্দান মেডিকেল কলেজ, ৫. নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ, ৬. শাহ মাখদুম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী। এ ছাড়াও তালিকায় আরও একটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর নাম জানা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব বলেন, ‘অনুমোদিত মেডিকেল কলেজের তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। কতগুলো মেডিকেল কলেজ আছে, যেগুলোকে আমাদের ভাষায় বলি স্থগিত মেডিকেল কলেজ। এই লিস্টে কয়েকটা মেডিকেল কলেজ আছে। সেগুলো আদালতের আদেশ নিয়ে আবার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এভাবে কয়েকটি মেডিকেল কলেজ চলছে। এসব মেডিকেল কলেজ নিয়ে কি করা যায়, আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি স্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দায়িত্ব বিএমডিসির। স্থগিত মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার্থী ফাইনাল প্রফ নয়, এখন থেকে ফার্স্ট প্রফ পরীক্ষাও দিতে পারবে না।’
Discussion about this post