হার্টবিট ডেস্ক
মহামারির করোনাভাইরাস মধ্যেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ‘মাঙ্কিপক্স’ নামে বিরল একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
চলতি মাসের শুরুতে এই ভাইরাসের সন্ধান প্রথম মেলে যুক্তরাজ্যের এক ব্যক্তির শরীরে। সরকারিভাবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যদপ্তর এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রেও। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি কানাডা থেকে ফিরেছেন।
এদিকে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো কয়েকটি দেশেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার পতুর্গাল জানিয়েছে, দেশটিতে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া স্পেনে ২৩ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা যায়। ভাইরাসটি প্রথম ১৯৭০ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, যা পশ্চিম আফ্রিকায় গত এক দশকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
এই ভাইরাসটি খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। যা নাক, মুখ, চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকেও সংক্রমিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের গুটিবসন্তের মতো একটি বিরল সংক্রমণ। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এই ভাইরাস এতই বিরল যে, এখনো পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিত্সা পদ্ধতি জানতে পারেননি চিকিৎসকরা। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।
উপসর্গ সম্পর্কে সেন্টারস্ ফর ডিজিজ্ কন্ট্রোল অ্যাণ্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি, র্যাশের মত উপসর্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। মুখ থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে শরীরের পুরো অংশে ছড়িয়ে পড়বে এই র্যাশ। সহজে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই বিরল।
সূত্র: সিডিসি, আল-জাজিরা
Discussion about this post