হার্টবিট ডেস্ক
চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা দেশের প্রতিটি উপজেলায় চক্ষু সেবাদানে জোর দিয়েছি। বর্তমানে দেশের ১০০টি উপজেলায় ভিশন সেন্টার আছে। আমরা দেশের সব উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ভিশন সেন্টার করবো।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে অপথালমোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) ৪৯তম বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের চক্ষু চিকিৎসায় অনেক জনবল এখনো কম আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেক অপারেশন আমরা এখনো দেশে করাতে পারি না। আমাদের চক্ষু চিকিৎসক আরও বাড়াতে হবে। মানুষ কর্ণিয়া দান করতে এখনো আগ্রহী নয়। এক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। আমাদের মানুষকে এই বিষয়ে আগ্রহী করতে হবে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা হাজার গুণে ভালো আছি, স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছেছে। আমাদের ইপিআই কর্মসূচি (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) সারা বিশ্বে প্রশংসিত। ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের ফলে দেশে রাতকানা রোগ নির্মূল হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এ পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কোটি (করোনা) টিকা পেয়েছি। এর মধ্যে ২৬ কোটি টিকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে। দেশে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন মানুষ মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে। গত এক মাসে আমাদের করোনায় কোনো মৃত্যু নেই। বাংলাদেশের মানুষ এখন করোনার সার্টিফিকেট ছাড়াই বিদেশ যেতে পারে।
‘কিছুদিন আগে জাপানি একটি সংস্থা জরিপে বলেছে, পৃথিবীর ১২১টি দেশের মধ্যে ৫ম আর এশিয়ায় বাংলাদেশ ১ম স্থানে রয়েছে। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ৭০ নম্বরে অবস্থান করছে। আমরা যখনই চেয়েছি প্রধানমন্ত্রী সব সহযোগিতা দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আশরাফ সাঈদ। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব সাইফুল হাসান বাদল, অপথালমোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Discussion about this post