হার্টবিট ডেস্ক
মানুষ ও পশুচিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আট ধরনের ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এখন থেকে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ওষুধ উৎপাদনে যেতে পারবে না। তবে কী কারণে এসব ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার (১৬ মে) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির ২৫৩তম সভায় এই ওষুধগুলোর নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় এসব ওষুধ যেসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল সেসব প্রতিষ্ঠানের উল্লিখিত পদগুলোর নিবন্ধন বাতিল করার জন্য এবার নির্দেশ দেওয়া হলো।
মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো হলো- ১. র্যাবেপ্রাজল সোডিয়াম ইন্টেরিক কোটেড পেলেটস ৮.৫\% ডব্লিউ/ডব্লিউ পিএইচ গ্রেড ২৩৫. ২৯৪ মিলিগ্রাম। ২. ব্রমেলেইন ৫০ এমজি + টি ১ মিলি গ্রাম ট্যাবলেট ব্রমেলেইন ইউএসপি ৫০ মিলি গ্রাম + ট্রিপসিন বিপি ১ মিলিগ্রাম। ৩. অ্যাস্টাক্সান্থিন আইএনএন ২ মিলিগ্রাম। ৪. অ্যাস্টাক্সান্থিন আইএনএন ৪ মিলিগ্রাম।
পশুচিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো হলো- ১. সেফট্রিয়াক্সন (সোডিয়াম) (ভেট) ইনজেকশন ও সেফট্রিয়াক্সন ০.২৫ জি ইউএসপি/ভায়াল। ২. লেভোফ্লক্সাসিন হেমিহাইড্রেট ১০.২৫ গ্রাম, ইকুইভ্যালেন্ট টু লেভোফ্লক্সাসিন ১০ গ্রাম/১০০ সলিউশন (১০%) ওরাল সলিউশন। ৩. মহাবিপন্ন শকুন রক্ষার্থে ক্ষতিকর সব ডোজেস ফরমের ভেটেরিনারি ওষুধ কিটোয়োফেন। ৪. প্রাণীচিকিৎসায় কলিস্টিন জাতীয় ওষুধের সব ডোসেজ ফরম।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ও সংশ্লিষ্ট নথি শাখাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post