হার্টবিট ডেস্ক
সরকারিভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ে তিনটি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এই রোগের নিরাময়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়েও চিকিৎসা বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি)।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) তেজগাঁও শিল্প এলাকায় টাইমস মিডিয়া ভবনে সমকাল ও এনসিডিসি যৌথভাবে বিশ্ব রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এসব কথা বলেন।
রোবেদ আমিন বলেন, কতজন রোগী হাইপার টেনশনে ভুগছে আমরা এখনো তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে সরকারের তরফ থেকে আমরা সারাদেশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কিনিং করা যায় কি না, তা পরিকল্পনা করছি। স্ক্রিনিং করে যাদের চল্লিশোর্ধ্ব বয়স তাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন দিয়ে দিচ্ছি। সেখানে হেলথ অ্যাসিস্টেন্টরা তাদের দেখছেন। এর মধ্যে যদি কারো ১৪০/৯০ এর বেশি ব্লাড প্রেশার থাকে তাদের তারা শনাক্ত করছেন, সুগারও টেস্ট করছেন। তারপর তারা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। যেখানে গেলে একটি টিমের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সরকার থেকে উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় ২০০টি উপজেলায় তিনটি ওষুধ ফ্রি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নার থেকে এ ওষুধ নিতে পারবেন তারা। এই তিনটি ওষুধ যাতে নিয়মিত সাপ্লাই করা যায় সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। দেশে প্রায় ৮৯ হাজার ৪০০ রেজিস্ট্রার্ড হাইপার টেনশনের রোগী আছে। এর বাহিরেও অসংখ্য রোগী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক বিগ্রে. (অব.) আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, এনসিডিসির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ফজলে এলাহী খান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল প্রমুখ।
Discussion about this post