হার্টবিট ডেস্ক
কাঁকরোল বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত সবজি। দেশের প্রায় সর্বত্রই এই সবজির চাষাবাদ হয়ে থাকে। কাঁকরোলের গায়ে ছোট ছোট অনেকগুলো কাঁটা থাকে। গায়ে কাটা থাকার কারণে অনেকে একে ছোট কাঁঠাল বলা হয়। থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে কাঁকরোল পাওয়া যায়।
কাঁকরোলের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
কাঁকরোল এমন একটি সবজি যার মধ্যে টমেটোর চেয়েও প্রায় ৭০ গুণ বেশি পরিমাণে লাইকোপিন পাওয়া যায়। এতে কমলার চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ বেশী পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় বিটা ক্যারোটিন ও জিয়াজেন্থিন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
কাঁকরোল মানবদেহের সব থেকে মারাত্মক রোগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে । এর মধ্যে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিকে ধীরগতির করতে সক্ষম। এসব গুণের কারণেই মূলত কাঁকরোলকে “স্বর্গীয় ফল” হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করেঃ
কাঁকরোল শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করেঃ
যেহেতু কাঁকরোলে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই এটি কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কাঁকরোল খাওয়া হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ
কাঁকরোলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করেঃ
কোষের কার্যক্রমকে উদ্দীপ্ত করে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করতে সাহায্য করে। কোলাজেনের গঠনকে পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে কাঁকরোল।
Discussion about this post