হার্টবিট ডেস্ক
তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। গরমে ঠান্ডা পানীয় পান করে অনেকেরই সর্দি-কাশি, বুকে কফ জমার সমস্যা হচ্ছে । এ সময় ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া কিছু সমাধান অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
হলুদ-দুধ : হলুদে থাকা কারকুমিন বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা সহজেই দূর করে। হলুদের থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ও বুকের খুসখুসে অস্বস্তি, জ্বালা, ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন পান করুন। এ ছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে দু’ চা চামচ মধু এবং এক চিমটে গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। উপকার পাবেন।
গোলমরিচের চা : কালো রঙের গোলমরিচের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই গোলমরিচ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদেও এর ভূমিকা রয়েছে। গোলমরিচের চা অনেক সমস্যারই সমাধান করে। এর মধ্যে থাকা উপাদান পাইপিরিন ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
মধু-দারচিনি ও যষ্ঠি মধু : মধু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এসব উপাদান গলার জীবাণুগুলিকে ধ্বংস করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধুর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। খুশখুশে কাশি -ঠান্ডা সারাতে ১/৪ চা চামচ মধু, ১/৪ চা চামচ যষ্টিমধু, ১/৪ চা চামচ দারুচিনি নিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় দু’বার পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান।
ইউক্যালিপটাস তেল : সর্দি কাশির মতো নানা সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে এই প্রয়োজনীয় তেল। বুকে কফের পরিমাণ বেড়ে গেলে নাক বন্ধ হতে শুরু করে, এতে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। কারও যদি নাক বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য ইউক্যালিপটাস তেল কার্যকরী।
Discussion about this post