অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ
চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার প্রথম তিন তারকা শাহবাগ হোটেলের জায়গায় ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমঅ্যান্ডআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণার দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেও এই প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা ছিল না। ডিগ্রি প্রদান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আইপিজিএমঅ্যান্ডআর কার্যক্রমসহ অনেকগুলো চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের এমবিবিএস ডিগ্রি প্রদান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৫তম বছরে পদার্পন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সর্বপ্রথম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই জাতির জনকের সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমঅ্যান্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে দেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি অধ্যাপক এম এ কাদেরীর সময় প্রথমে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন), (ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্র্রার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পরে পরিচালক (হাসপাতাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টির ডিনের দায়িত্বও পালন করি। দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম আমি। ২০১৫-২০১৮সাল পর্যন্ত ব্শ্বিবিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আমি বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম। সর্বশেষ গত বছর ২৯ মার্চ আল্লাহর অশেষ রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আগামী তিন বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে মনোনীত করেছেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদ আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক পুনর্বাসন ও উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম সাহেবকে তৎকালীন আইপিজিএমঅ্যান্ডআরের উন্নয়নের সার্বিক দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তৎকালীন আইপিজিএমঅ্যান্ডআর এ ভর্তি ছিলেন। অধ্যাপক ডা. শেখ আশরাফ আলীর তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বেগম মুজিব ভর্তি থাকার সুবাদে সে সময়ে বঙ্গবন্ধু এখানে আগমন করেন। আর এ সুযোগে চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা প্রবর্তন এবং দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির জন্য আইপিজিএমঅ্যান্ডআরকে আরো উন্নত করা এবং বিসিপিএস প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করেন।
এ দেশের মানুষের রক্তের প্রয়োজনে নিরাপদ রক্ত সরবরাহ ও নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য বঙ্গবন্ধু তৎকালীন আইপিজিএমঅ্যান্ডআরে প্রথম ব্লাড ব্যাংক স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এই ব্লাড ব্যাংকের উদ্বোধন করেন, আজও বঙ্গবন্ধুর হাতের ছোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ত পরিসঞ্চান বিভাগে বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধুই প্রথম এ দেশের চিকিৎসকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে তাদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্বে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩ সরকারি ও ৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ ৫টি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সকল মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯ এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১ দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। প্রত্যেকটি সংগঠনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ায় এ দেশের চিকিৎসক সমাজ চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নে তাদের সকল প্রত্যাশা পূরণের ভরসাস্থলের সন্ধান পান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘ দিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি দেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেন।
বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চির দিন স্মরণ করবে। এছাড়াও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মরহুম সালাহউদ্দিন ইউসুফ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. এম আমানুল্লাহ ও স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আলীর অবদান উল্লেখযোগ্য।
জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডএকল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারো আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন করেছিলাম তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ মামলা হামলা করেছিল তৎকালীন সরকারের লেজুড় ভিত্তিক চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব ও কর্মচারী গোষ্ঠী। এহেন ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দেশের সকল পেশাজীবী ও আপামর জনসাধারণ তীব্র ক্ষোভ ও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। তীব্র আন্দোলনের ফলে বিএনপি-জামাত সরকার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবুও ক্ষোভের বশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফলক থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলে সংক্ষেপে বিএসএমএমইউ লিখে পরিচিতি দেয়। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে। দেশের জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারডেম সংলগ্ন বেতার ভবনের জমি ও হাসপাতালের উত্তর পার্শ্বের ১২ বিঘা জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কয়েকশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সহায়তা ও দিকনিদের্শনায় খুব দ্রুত নতুন কেবিন ব্লক সম্প্রসারণ, অনকোলজি ভবন, নতুন বহিঃবিভাগ, আধুনিক আইসিইউ, ওটি কমপ্লেক্স, মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান, চাকরিসহ বিভিন্নক্ষেত্রে কোটা প্রবর্তনসহ নানামূখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেল গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা অল্প খরচে করা এবং আলাদা কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে চান্স প্রাপ্ত বেসরকারি ছাত্র/ছাত্রীদের মাসিক সম্মানি ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকার উন্নীত করা হয়।
সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোরিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তার ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট কোরিয়া মৈত্রী বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যা এ সরকারের আরও একটি সাফল্য।
গত বছর ২৯ মার্চ যোগদান করার পর থেকে এ পর্যন্ত আমি অনেকগুলো বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। তা নিন্মরূপ : বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হাসপাতালের অভ্যন্তরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা ও রোগী বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করেছি, বেতার ভবনে ১০০ শয্যা করোনা ইউনিট এবং ননকোভিড রোগীদের জন্য ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন, হেমাটোলজিক্যাল প্যারামিটার অ্যান্ড অ্যান্টিবডি টিট্রে আফটার ভ্যাকসিনেশন এগেনিস্ট সার্স-কোভ-২ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ, কোভিড-১৯ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিকক্ষ কেবিন-১১৭ শুভ উদ্বোধন। এ কক্ষেই কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নন-রেসিডেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের ভাতা প্রদান, বন্ধ থাকা টিএসসি পুনরায় চালু, ২০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন।
এছাড়াও পেডিয়াট্রিক অ্যান্ডোক্রাইনোলজি ক্লিনিক, পেডিয়াট্রিক থাইরয়েড ক্লিনিক ও গ্রোথ ক্লিনিকের উদ্বোধন, রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিমেচিউরিটি (আরওপি) ক্লিনিকের উদ্বোধন, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগে ইমারজেন্সি ল্যাব উদ্বোধন, বিশ্ব প্রবীণ দিবসে প্রবীণদের পুষ্টিসহ ৩টি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ, রোগীদের সুবিধার্থে বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোর পুনরায় চালু, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে আরর্থ্রোস্কোপি ইউনিটে না কেটেই সফলভাবে শোল্ডার জয়েন্ট আরর্থ্রোস্কোপির মাধ্যমে ব্যাংকার্ট রিপেয়ার কার্যক্রম অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পন্ন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর প্রথমবারের মতো হেলথ কার্ডের উদ্বোধন, সফলভাবে ইনফার্টিলিটির চিকিৎসায় স্টেম সেল প্রয়োগ, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগের উদ্বোধন, রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগে ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল থেরাপি প্রতিস্থাপন, শিশু সার্জারি বিভাগে স্কিল ল্যাব, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও ৩টি ডিভিশন এবং হিজরা নামে পরিচিত তৃতীয় লিঙ্গের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট বহির্বিভাগ ক্লিনিক উদ্বোধন।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শতাধিক নন রেসিডেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের (চিকিৎসকদের) বৃত্তি প্রদান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকদের সম্মাননা প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন, শিশুদের মেরুদন্ডের বাঁকা হাড় সোজাকরণ ইউনিটের উদ্বোধন, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি ওপিডি স্পেশাল ক্লিনিকের উদ্বোধন, অতি সম্প্রতি প্রায় ৯০০ জন অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগ চালু, খাদ্যে ক্ষতিকারক উপাদানের উপস্থিতি (ফুড হ্যাজার্ড) নিয়ে ৩টি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বটতলায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী সংক্রান্ত ১০০ আলোকচিত্র প্রর্দশনী ও শিশুদের ফটোগ্যালারির উদ্বোধন, পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু ইত্যাদি।
পরিকল্পনাধীন বিষয় সমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে অটোমেশনের আওতায় আনা, ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস কার্যক্রম চালু, আগামী জুনের মধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালুকরণ, বেতার ভবনের স্থানে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল-২ নির্মাণ পরিকল্পনা, বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালু, ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারের জন্য বাসভবন সুবিধা, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসভবন সুবিধা, পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ডরমেটরি সম্প্রসারণ, সুইমিং পুলসহ ডক্টরস ক্লাব চালু, ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ছাপখানা চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুদৃশ্য প্রধান ফটক নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, গবেষণা কর্যক্রমের জন্য এনিমেল হাউস প্রতিষ্ঠা, ডে কেয়ার সেন্টার আধুনিকায়ন, শিশুদের জন্য প্লে-গাউন্ড প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন ব্লকের নামকরণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ, পূর্বাচলে আউট রিচ হাসপাতাল নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা বৃদ্ধির জন্য তৎপরতা গ্রহণ ইত্যাদি।
উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
Discussion about this post