হার্টবিট ডেস্ক
বাংলা সাহিত্যে বিশেষ করে বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১’ লাভ করায় অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরীকে ফেলোশিপ প্রদান করেছে বাংলা একাডেমি। তাঁর ফেলোশিপ নম্বর ৫০৬।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বাংলা একাডেমির যুগ্মসচিব এ. এইচ. এম. লোকমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আমাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করায় বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এটা আমার বড় একটা অর্জন। এজন্য খুব ভালো লাগছে। আমি খুবই আনন্দিত যে, বাংলা একাডেমি ও দেশ আমাকে এটা দিয়েছে। এতে আমার যে অবদান আছে, তা দীর্ঘদিন পরে হলেও দেশ স্বীকার করেছে, এটাই আমার অর্জন। এতে দেশ ও মানুষের প্রতি দায় ও মমত্ববোধ বাড়ছে।’
১৯৪৭ সালে সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) সাবেক এই অধ্যক্ষ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকও বাংলায় অনুবাদ করেছেন তিনি। চিকিৎসা বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৬০টি মৌলিক গ্রন্থ লিখেছেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। সাধারণ মানুষের জন্য লেখা এসব বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানে আবিষ্কারের কাহিনী (১৯৭৮), চিকিৎসাবিজ্ঞান পরিভাষা (১৯৮৩), আপনার কুশল (১৯৮৫), মনের এ দুয়ারটুকু (১৯৮৫), ক্যান্সার (১৯৮৫), শিশুর জগৎ (১৯৮৯), ডাক্তারী আলাপ (১৯৯১), ভালো খাওয়া ভালো স্বাস্থ্য (২০০৪) ও সুখে অসুখে (২০০৫)। এ ছাড়াও দেশি-বিদেশি পত্র-পত্রিকা ও চিকিৎসা জার্নালে অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন ও লিখছেন। সৃষ্টিশীল এ পথে হাঁটার স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে গঠিত বাংলা একাডেমির চিকিৎসা বিজ্ঞানের বইয়ের অনুবাদ বোর্ডে ডাক পান শুভাগত চৌধুরী।
গবেষণা, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য ভ্রমণ করেছেন ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও পশ্চিম আফ্রিকা। এ ছাড়া চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কার।
Discussion about this post