হার্টবিট ডেস্ক
মশাবাহিত মারাত্মক এক রোগ হলো ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়া রোগটি পরজীবীর আক্রমণের কারণে হয়। এবার এই পরজীবীকে শরীরে পৌঁছে অ্যালোফিলিস মশা। এই মশার উৎপাত প্রতিবছর ভিন্নরকম হয়।
তাই ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিবছর বিশ্বের অসংখ্য মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালোফিলিস মশার জীবাণু মানব শরীরে প্রবেশ করে বাসা বাধে লিভারে। সেখান থেকে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ওই জীবাণু রক্তে মিশে যায়। এক্ষেত্রে লোহিত রক্ত কণিকায় এসে মেশে জীবাণু।
এ অবস্থায় অন্য কোনো মশা যদি ওই ব্যক্তিকে কামড়ায় দেয় তবে সেই মশার শরীরেরও ঢুকবে ম্যালেরিয়ার জীবাণু। তারপর সেই মশা সুস্থ কোনো মানুষকে কামড়ালে তার শরীরেও পৌঁছে যাবে জীবাণু।
এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়ার জীবাণুর কিছু ভাগ আছে। এর মধ্যে ফ্যালসিফেরাম ও ভাইভ্যাক্স ভাগদুটিই মূলত দেখা যায় বেশি।
ম্যালেরিয়াল লক্ষণ
১. কাঁপুনি দিয়ে উচ্চমাত্রায় বা মাঝারি জ্বর
২. বমি বমি ভাব ও বমি
৩. মাথাব্যথা
৪. ডায়রিয়া
৫. রক্তশূন্যতা
৬. পেশিতে ব্যথা
৭. প্রচুর ঘাম হওয়া
৮. খিঁচুনি
৯. রক্তাক্ত মল ইত্যাদি।
আরডিটি বা র্যাপিড ডিটেকশন টেস্টের মাধ্যমে এখন খুব সহজে ও দ্রুত ম্যালেরিয়া টেস্ট করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ করে যে, ম্যালেরিয়ায় সন্দেহজনক সব ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিচালনার আগে একটি প্যারাসাইট-ভিত্তিক ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত, একমাত্র অনুমোদিত ভ্যাকসিন হলো Mosquirix ব্র্র্যান্ডের RTS, S।
সূত্র: ডিএনএইন্ডিয়া
Discussion about this post