সাদিয়া ইসরাত স্মৃতি
অনেকে দুধ বা দুধজাতীয় খাবার সহ্য করতে পারেন না। সেসব খাবার খেলে তাঁদের তলপেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, অস্বস্তি লাগা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং ডায়রিয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্যাগুলো হলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বলা হয়। এর মূল কথা হলো, দুধে থাকা উপাদান ল্যাকটোজ কারও কারও হজমে সমস্যা করে।
রোগ নির্ণয়
যে টেস্ট বা পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত করা যায়—
- ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স টেস্ট
- স্টুল অ্যাসিডিটি টেস্ট
- হাইড্রোজেন ব্রেথ টেস্ট
- গ্লুকোজ ব্লাড টেস্ট
যেসব খাবারে সমস্যা
- দুধ
- মাখন
- দই
- আইসক্রিম
- কিছু প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার
আমাদের হাড় আর দাঁতের গঠন
ঠিক রাখতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। তাই দুধজাতীয় খাবার না খেলে এ পুষ্টি উপাদানগুলোর ঘাটতি দেখা দেবে। ঘাটতি যাতে না হয় সে জন্য কিছু বিকল্প খাবার খাওয়া
যেতে পারে।
গরুর দুধের বিকল্প
- কাঠবাদামের দুধ
- সয়া মিল্ক
- নারকেল দুধ
- রাইস মিল্ক।
গরুর দুধ বা দুধে বানানো খাবার খেতে যাঁদের সমস্যা হবে, তাঁরা এই বিকল্প দুধগুলো খেতে পারেন। খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে
- ভাজা কাঠবাদাম
- টফু
- বাদামি রুটি
- ছোট মাছ
- পালংশাক
- ব্রোকলি
- মিষ্টি আলু
- ঢ্যাঁড়স
- ওটস
- তিলের বীজসহ বিভিন্ন ধরনের বীজ
- কমলার রস
এই খাবারগুলো ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ। এসব খাবার পুষ্টির চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বাজারে আজকাল ল্যাকটোজমুক্ত দুধ কিনতে পাওয়া যায়। সম্ভব হলে সেগুলো খেতে পারেন।
লেখক: ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ, ডক্টর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হসপিটাল
Discussion about this post