হার্টবিট ডেস্ক
চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনির পাথর তৈরি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল জল কম পান করা। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে দিনে বাড়ছে কিডনির রোগের সমস্যা। তবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ারও উপায় রয়েছে।
কিডনিতে স্টোন-কে অনেকেই ‘নীরব রোগ’ আখ্যা দিয়ে থাকেন। ধীরে ধীরে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, আর কিছুক্ষেত্রে তা ভয়ানক আকার নেয়।
মুম্বইয়ের মাসনিয়া হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্ট জাহির আমিন ভিরানি, গ্লোবাল হাসপাতালের শ্রুতি তাপিয়াওয়ালারা কিডনির পাথর সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেন, কিডনির পাথর তৈরি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল জল কম পান করা।
কীভাবে দূর করা যায় কিডনির পাথর?
জল পান
ঘাম কতটা হচ্ছে ,তার ওপর নির্ভর করে জল পান করার পরিমাণ। তবে ২ থেকে ৩ লিটার জল প্রয়োজন। দিনে ৭ থেকে ১২ গ্লাস জল পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রয়োজন।
কম নুন খান
নুন কম খেলে স্টোন তৈরি হওয়ার জন্য যে মিনারেলগুলি প্রয়োজন তা তৈরি হয় না। ফলে স্টোন তৈরি হয় না। প্রসেসড ফুড না খাওয়া ভাল।
চিকিৎসা
পেটে ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখলেই সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। অক্সালেট ধরনের স্টোন হলে টমেটো, পেয়ারার মতো ফল, সবজি থেকে দূরে থাকুন।
মাংস খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ
নুন ছাড়াও মাংস খাওয়া কমানো প্রয়োজন কিডনির স্টোন থেকে বাঁচতে হলে। মাংস বা অ্যানিম্যাল প্রোটিনে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। ফলে তা শরীরের ক্ষেত্রে বড়সড় ঝুঁকি তৈরি করে।
ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন
কিডনির স্টোন গঠনের ক্ষেত্রে বাধা দেয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট। ফলে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন ৪২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম।
Discussion about this post