হার্টবিট ডেস্ক
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে শরীরের মেদ নিয়ে চিন্তিত নন এমন মানুষ খুব কমই আছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সবার পেটের মেদ এক রকম হয় না। শরীর গঠনের মূল উপাদানগুলো হলো-প্রোটিন, শর্করা ও স্নেহ পদার্থ। এদের মধ্যে মেদ হলো মূলত স্নেহ পদার্থ। এই ফ্যাট শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। কিন্তু এ কথাও সত্য যে অতিরিক্ত মেদ ডেকে আনতে পারে বিভিন্ন রোগব্যাধি। তাই শরীরে যাতে প্রয়োজনের বেশি মেদ না জমে তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার জেনে নিন শরীরে কত রকমের মেদ জমতে পারে –
১। বেইজ ফ্যাট
বেইজ ফ্যাট হলো সাদা এবং বাদামি চর্বির মিশ্রণ। যখন আমরা ব্যায়াম করি, শরীর সাদা চর্বিকে ইরিসিন হরমোন ব্যবহার করে বেইজ ফ্যাটে রূপান্তরিত করে, এই প্রক্রিয়াটিকে ব্রাউনিং বলা হয়। এটি সাধারণত গলার হাড়ের চারপাশে এবং মেরুদণ্ড বরাবর পাওয়া যায়। আঙ্গুরের মতো খাবার খাওয়া বাদামি হওয়ার প্রক্রিয়াটিকে বেঁধে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
২। ব্রাউন ফ্যাট
ব্রাউন ফ্যাট হলো একটি ভালো চর্বি যা ঘাড়ের পিছনে এবং বুকের অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু বা বিএটি নামেও পরিচিত, এই চর্বি শরীরের জন্য ভালো। কারণ এটি শরীরের অন্তর্নিহিত তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবার, পরিপূরক গ্রহণ এবং জীবনধারায় ছোট কিন্তু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে শরীরে এর পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
৩। ভিসেরাল ফ্যাট
এই নামটি আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। কারণ এটি শরীরে জমা হওয়ার কারণে গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ভুঁড়িতে যে চর্বি জমে তার মূল কারণ এটিই। যদিও অঙ্গগুলোর সুরক্ষার জন্য এই ধরনের স্নেহ পদার্থের কিছুটা প্রয়োজন, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে জমা হলে এই ধরনের মেদ কোলেস্টেরল, ক্যানসার, হৃদ্রোগ এবং টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
৪। সাদা সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট
চর্বিযুক্ত সাদা ফ্যাটের ভাণ্ডার নিয়ন্ত্রণে রেখে, ত্বকের নিচের সাদা চর্বি অ্যাডিপোনেক্টিন উৎপাদনের কারণে শরীরে যে ইনসুলিন নিঃসৃত হয় তা নিয়ন্ত্রণ করে। সাদা সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট শরীরের জন্য ভালো। তবে শরীরে এটির আধিক্যে অ্যাডিপোনেক্টিনের অত্যধিক ক্ষরণ হতে পারে যা বিপাককে ধীর করে দিতে পারে এবং নিতম্ব, উরু এবং পেটের চারপাশে চর্বির পরিমাণ বাড়াতে পারে।
৫। সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট
ত্বকের নিচের এই চর্বি সামগ্রিকভাবেই শরীরে, বিশেষ করে নিতম্ব, বাহু এবং পায়ের পিছনে থাকে। পেটে এর অত্যধিক পরিমাণ ডায়াবিটিস, স্থূলতা এবং সংবহনতন্ত্রের সমস্যার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ত্বকনিম্নস্থ চর্বির আধিক্য মানে শরীরে ইস্ট্রোজেনের আধিক্য যা পুরুষ এবং মহিলাদের শরীরে অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
Discussion about this post