হার্টবিট ডেস্ক
মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন নারীদের জন্য বেশ কষ্টকর। পিরিয়ডের সময়টাতে ক্লান্তি, দুর্বলতা, খিটখিটে মেজাজ, তলপেটে ও শরীরে ব্যথা ইত্যাদি হলো সাধারণ। কারও কারও ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সেই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ খেয়ে থাকেন অনেকে। এতে সাময়িক আরাম মিললেও মেলে না মুক্তি। বরং ওষুধের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে শরীরে।
পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হলে তা দূর করার জন্য ঘরোয়া নানা সমাধানের দিকে মনোযোগ দেওয়াই উত্তম। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে জেনে নিন কোন খাবারগুলো পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা কমাতে কাজ করে-
বেশি পানি পান করুন
পিরিয়ডের সময়ে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পানি পান করুন। এতে পেটের ব্যথা অনেকটাই কম অনুভূত হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পানের কারণে পেটের ফোলাভাব এবং গ্যাস থেকেও মুক্তি মিলবে। যেসব খাবারে পানি বেশি থাকে সেসব খাবার যেমন- তরমুজ, শসা, বিভিন্ন ধরনের বেরি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের স্যুপ ও হালকা গরম পানিও ব্যথা কমাতে কাজ করে।
কলা
উপকারী একটি ফল হলো কলা। এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়াম থাকে, এই দুই উপাদান পিরিয়ডের সময় হওয়া যন্ত্রণা এবং পেটের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময়ে পেটে ব্যথা হলে কলা খেতে পারেন।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা কমাতে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়ে বিভিন্ন গবেষণায়। এসময় মুড সুইং, ক্লান্তি, অবসাদ, প্রভৃতি দূর করতে কাজ করে এ ধরনের খাবার। তাই খাবারের তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, পনির, দই, চিজ, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি যোগ করুন।
সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজির উপকারিতা অনেক। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে অনেকটা রক্ত বের হয়ে যায়। সেই ক্ষতি পূরণের জন্য খাবারের তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। তাই এসময় প্রচুর সবুজ শাক-সবজি খাবেন। এতে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে, যা পিরিয়ড চলাকালীন পেটে ব্যথা কমাতে কাজ করে।
ওটস
উপকারী একটি খাবার হলো ওটস। এটি ফাইবার, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরা। ওটস খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি হজম ক্ষমতা ভালো রাখার পাশাপাশি পিরিয়ডের সময়ে পেট ব্যথা কমাতেও কাজ করে। তাই এসময় ওটস খেতে পারেন।
লেবু
ভিটামিন সি এর অন্যতম ভালো উৎস হলো লেবু। এটি খাবার থেকে আয়রন শোষণ করার কাজে শরীরকে সাহায্য করে। এছাড়া লেবুতে থাকে প্রচুর ফাইবার। এটি পেশীর খিঁচুনি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
Discussion about this post