হার্টবিট ডেস্ক
স্বাদের কারণে অনেকেই পটল খেতে পছন্দ করেন। এটা রান্না, ভাজি, ভর্তা-সবভাবেই খাওয়া যায়। শুধু স্বাদ নয়, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ পটল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি।
পটল ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার প্রবণতাও কমায়। এই সবজি খেলে আরও যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে : পটলের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে। এ কারণে নিয়মিত এই সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে : পটলের বেশ ভাল পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি এক দিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে ঋতু বদলের সময়ে হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে : পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা হজম হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার একশো গ্রাম পটলে মাত্র ২০ ক্যালরি থাকে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন ও বুঝতে পারছেন না কোন খাবার খাওয়া উচিত তাদের জন্য পটল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে : পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিণ্ড ভাল থাকে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : পটল ও পটলের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান, কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।
Discussion about this post