হার্টবিট ডেস্ক
ডায়রিয়া নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে চায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। সচেতনতা বাড়াতে এরইমধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার ও বহুল প্রচারে (মাইকিংসহ) সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর স্বাক্ষরে গতকাল রোববার এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি ডায়রিয়া নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালুর কথাও জানানো হয় অফিস আদেশে।
০৩১-৬৩৪৮৪৩ এই নাম্বারে ফোন করে ডায়রিয়া সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য সেবা পাওয়া যাবে।
যেসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নির্দেশনা :
নিরাপদ পানি পান নিশ্চিত করা, স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার নিশ্চিত করা, বাসি ও খোলা জায়গায় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরিধান করা এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য বহুল প্রচারের কথা বলা হয়েছে সিভিল সার্জনের নির্দেশনায়।
এর আগে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির শঙ্কায় প্রতিটি ইউনিয়ন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা জারি করে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এপ্রিল-মে মাসে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে উল্লেখ করে প্রতি ইউনিয়নে ১টি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ৫টি করে মেডিকেল টিম পুর্নগঠন করে প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয় নির্দেশনায়। গত ৩ এপ্রিল সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর স্বাক্ষরে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর এ নির্দেশনা জারি করা হয়। একই সাথে ডায়রিয়া সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ রাখার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৫ উপজেলার হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোরসহ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী রেকর্ড হয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৭ জন। গত ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬৫ জন। গত এক মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৩ জন। আর জানুয়ারি থেকে গতকাল (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ১৫ উপজেলায় রেকর্ডকৃত মোট ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৭৯৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা জারির তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই আগাম প্রস্তুতি রাখতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে প্রকোপ বাড়লে তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নেয়া যায়। এখন সচেতনতার উপর জোর দিচ্ছি। সচেতনতা বাড়াতে উপজেলায় বহুল প্রচার এবং মাইকিং করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
Discussion about this post