হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত দুই হাজার দুইশ এর বেশি হিমোফিলিয়া (অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত রোগ) রোগী নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিএসএমএমইউয়ের হেমাটোলজি বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আরও ১৪ হাজারের মতো রোগী নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। এসব রোগীদের আগামী এক বছরের মধ্যে নিবন্ধিত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলোজি বিভাগকে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব হিমোফিলিয়া ফেডারেশনের বার্ষিক সার্ভে ২০২০ এর মতে বিশ্বে প্রতি লক্ষ নবজাতক পুরুষ শিশুদের মধ্যে ২৪ দশমিক ৬ জন হিমোফিলিয়া এ ও পাঁচজন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে নয় দশমিক পাঁচজন হিমোফিলিয়া এ ও এক দশমিক পাঁচজন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত।
উপাচার্য বলেন, বিএসএমএমইউয়ে হিমোফিলিয়া রোগীর চিকিৎসায় ‘হিমোফিলিয়া কম্প্রিহেনসিভ কেয়ার সেন্টার’ নির্মাণ করা হবে। এখানে অর্থপেডিক্স সার্জন থাকবে, ইএনটি সার্জন থাকবে, জেনারেল সার্জন থাকবে নিউরোলজিস্ট থাকবে। এ চিকিৎসায় সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, হিমোফিলিয়া প্রধানত বংশগত রোগ। এ রোগে শরীরে আঘাত বা কেটে গেলে রক্ত জমাট বাধা প্রলম্বিত হয়। রোগের তীব্রতা বেশি হলে আঘাত ছাড়াই রক্তপাত হতে পারে ও অস্থিসন্ধি বা গিরায় বা মাংসপেশিতে বারবার রক্তক্ষরণ হতে পারে।
এসময় তিনি হিমোফিলিয়া সব রোগী যেন সহজে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক, জরুরি চিকিৎসা, সুলভে ফ্যাক্টর, প্লাজমা ও অন্যান্য চিকিৎসার উপকরণ পেতে পারেন তাই হিমোফিলিয়া চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনসহ সর্বাধুনিক সুবিধাদি সহজলভ্য করার বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
রেসিডেন্ট ডা. নাসরিন আক্তার ও ডা. মেহনাজ আশরফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. কাজী ফজলুর রহমান, ডা. ইসমত আরা ইসলাম ও ডা. মো. আমিনুর রহমান।
Discussion about this post