হার্টবিট ডেস্ক
আজ বিশ্ব কণ্ঠ দিবস। বিশ্বের অন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে এই দিবস। কণ্ঠ ও কণ্ঠনালির সমস্যা এবং কণ্ঠকে সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Lift your voice’ যার বাংলা অনুবাদ দাঁড়ায় ‘আপনার কণ্ঠ থাকুক উচ্চকিত অর্থাৎ শানিত হোক কণ্ঠস্বর’।
প্রতি বছর ১৬ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিবসটি। আমেরিকান একাডেমি অফ অটোলারিঙ্গোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি (AAO-HNS)-এর প্রস্তাবিত এ প্রতিপাদ্যটি আমাদের যথাযথ ও গুণগত কণ্ঠস্বর ফিরিয়ে আনার কথা বলে যাতে আমরা নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি এবং আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের একটি বেসরিকারি সংস্থা ল্যারিঙ্গোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (laryngology and voice association of bangladesh) কণ্ঠের নানা সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে।
১.উচ্চ স্বরে বা ফিসফিস করে কথা বলা থেকে বিরত থাকা।
২. ধুমপানসহ সকল ধরনের তামাক সেবন থেকে বিরত থাকা।
৩. ধুলাবালি ও ধোয়ার পরিবশে পরিহার করে চলা।
৪. মদ্যপান হতে বিরত থাকা।
৫. অতিরিক্ত ঠান্ডা ও অতিরিক্ত গরম খাবার এবং পানীয় পরিহার করা।
৬. ভাজা-পোড়া, তৈলাক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করা।
৭. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, যাতে স্বরযন্ত্রে পানি শূন্যতা দেখা না দেয়।
৮. রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পূর্বে আহার শেষ করা।
৯. সর্বদা হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করা।
১০. পরিমিত আহার ও নিয়মিত ব্যয়াম করা।
১১. কোলাহল পূর্ণ পরিবেশে কথা বলা এড়িয়ে চলা।
১২. শিক্ষকগণ ক্লাসে লাউড স্পীকার ব্যবহার করা।
১৩. মাস্ক পরিধান করা।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলিয়ান ভয়েস কেয়ার পেশাদারদের দ্বারা ১৯৯৯ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল ভয়েস উদযাপন। পরে এটি ব্রাজিলিয়ান ভয়েস ডে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো দেশেও উদযাপিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, ২০০২ সালে আমেরিকান একাডেমি অফ ওটোলারিঙ্গোলজিস্ট-হেড এবং নেক সার্জারি এটি উদযাপন শুরু করলে, আনুষ্ঠানিকভাবে এটি বিশ্ব ভয়েস দিবস হিসেবে স্বীকৃত হয়।
Discussion about this post