হার্টবিট ডেস্ক
বাগেরহাটে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটে শয্যা সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (১০ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, চার শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৭ জন। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় মেঝের পাশাপাশি আইসোলেশন ওয়ার্ডের দুইটি কক্ষে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়ার্ডে জনবলের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে শয্যা সংখ্যাও।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছেলে নিয়ে আসা জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আছমা বেগম বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে ছেলেটার পেট ফাফা, বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। উপজেলার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও কোনও উপকার হয়নি। তাই সকালে ছেলেকে নিয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
জেলার কচুয়া উপজেলার সরোয়ার মোড়ল বলেন, ‘গত চারদিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছি। বমি, পাতলা, পায়খানার সঙ্গে পেট ফুলে রয়েছে। গতকাল রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন কিছুটা সুস্থ আছি। হাসপাতালে এসে দেখছি বয়স্কদের চেয়ে শিশুরাই বেশি।’
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে প্রায় ২০০ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স আসমা বেগম বলেন, ‘শিফট অনুযায়ী আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিৎকিসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে, যার অধিকাংশই শিশু।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নির্ধারিত চারটি শয্যা রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে যে হারে রোগী বাড়ছে, এতে মেঝের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডের জন্য জনবল বাড়ানো হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে। আশা করছি, কোনও সমস্যা হবে না।’
Discussion about this post