হার্টবিট ডেস্ক
মানবদেহে কিছু ব্যথা দীর্ঘসময় বাসা বেঁধে থাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও ব্যথার উৎস ধরা পড়ে না। ঘাড়, কাঁধ, মেরুদণ্ডসহ শরীরের এসব ব্যথা বেশ ভোগায়।
এমন ব্যথা ও এর উপশমের উপায় নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কনসালট্যান্ট ডা. মুহিব্বুর রহমান রাফে।
সব ঘাড়ের ব্যথার উৎস সারভাইক্যাল স্পাইন নয়, সব কাঁধের ব্যথা ফ্রোজেন শোল্ডার নয়; আর সব কোমরের ব্যথা মানেই মেরুদণ্ডের সমস্যা নয়— এসব ব্যথাকে মায়োফেসিয়াল পেইন সিনড্রোম বলা হয়।
* ঘাড়ের ব্যথা, কাঁধের ব্যথা অথবা কোমর ব্যথার সোর্স যখন খুঁজে পাওয়া যায় না।
* যে ব্যথা এক্সরে এমআরআইতে ধরা পড়ে না।
* সব ইনভেস্টিগেশন নরমাল খুঁজে পাওয়া যায়।
* বাতজনিত কিংবা ফাইব্রোমায়ালজিয়া দাবি করা যায় না।
* অথচ দিনের পর দিন রোগী ব্যথা-ব্যথা বলে চিৎকার করে অপ্রয়োজনীয় ব্যথার ওষুধ খান। ওই ব্যক্তিকে মানসিক রোগী বলে হেয় হতে হয়, সেটিই মায়োফেসিয়াল পেইন সিনড্রোম।
সমস্যা
* নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ব্যথাটা দীর্ঘদিন বাস করতে থাকবে।
* সেই স্থানে চাপ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চিৎকার করে উঠবে।
* ব্যথার ওপরের মাংসপেশিগুলো শক্ত হয়ে থাকবে।
* কারণ ছাড়াই সে স্থানের মাংসপেশি দুর্বল মনে হবে।
* ব্যথার স্থানে চাপ দিলেও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হবে।
* ঘাড় নাড়ানো যাচ্ছে না, শোল্ডার নাড়ালেই ব্যথা হচ্ছে, কোমরের অথবা শরীরের নির্দিষ্ট একটি পয়েন্টে বারবার ব্যথা অনুভূত হচ্ছে।
রোগের কারণ
সত্যিকারের কারণ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কখনও কখনও শরীরের অন্য কোনো অঙ্গের সমস্যা অথবা কানেক্টিভ টিস্যুর রোগের জন্য হতে পারে। সাধারণত কোনো আঘাত অথবা ওভার ইউজ অথবা ওভার স্ট্রেস থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। কোনো দুর্ঘটনা কিংবা মোটরবাইক চালনা, ভারি জিনিস বহন, বেকায়দা বসা বা কোনো খেলাধুলাজনিত কারণে এই ব্যথা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
আধুনিক চিকিৎসায় পজিশনাল রিলিজ অথবা ডিপ টেন্ডন ফ্রিকশন মেসেজ মুহূর্তে ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে। আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি যথেষ্ট সহায়ক। শুধু ব্যথার ওষুধ বা মাসল রিলাক্সেন্ট খেয়ে এটির কোনো সমাধান হবে না।
Discussion about this post