হার্টবিট ডেস্ক
রাজধানীর তেজগাঁও থেকে মানিকগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ৬০ বছরের পুরাতন ও জীর্ণ প্ল্যান্টটি। এজন্য আজ (৫ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্ল্যান্ট স্থানান্তরের লক্ষ্যে ‘এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে। একনেক কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এ প্রকল্পটি মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৯০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
একনেক সভায় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ইডিসিএলের পুরাতন প্ল্যান্টটি মানিকগঞ্জে কারেন্ট গুড ম্যানুফেকচারিং প্রাকটিস (সিজিএমপি) নীতিমালা অনুসরণ করে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে ওষুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করে চাহিদা পূরণসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। এই প্ল্যান্টটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে এর আমদানি কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৩১.৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ২.২০ লাখ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন; ২৪টি বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা/অনাবাসিক ভবন নির্মাণ (৯.৬৪ লক্ষ বর্গফুট); অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বাউন্ডারি ওয়াল, সেন্ট্রাল ড্রেনেজ, রিজার্ভার, ফুটপাত, ওয়াকওয়ে, ইউটিলিটি ব্রিজ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ; ৬টি ওয়াচ টাওয়ার ও ১টি ডিজিটাল পোট্রেট নির্মাণ; ৩১১৬টি আসবাবপত্র ও ২৮৪টি অফিস সরঞ্জাম ক্রয়; ৭২০টি কম্পিউটার ও ৪টি কম্পিউটার সফটওয়ার ক্রয়; ৪০ হাজার ৫০০ বর্গমিটার ল্যান্ডস্কেপিং এবং ১ হাজার ৪৬৪ জনমাস পরামর্শক সেবা ক্রয় করা।
রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সব স্তরের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের (কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) জন্য জরুরি ওষুধ উৎপাদনের বিষয়সহ স্বাস্থ্য সেবার সামগ্রিক উন্নয়নে এসব প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে গুণগতমানের ওষুধ উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারি খাতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ওষুধ সরবরাহে বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরকারি খাতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত শক্তিশালী হবে। এজন্য প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
Discussion about this post