হার্টবিট ডেস্ক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পুনরায় ক্যাথল্যাব কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। করোনার কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) এ সেবা চালু হয়।
ফলে এখন থেকে মমেক হাসপাতালে রক্তনালীর ব্লক নির্ণয়, রিং পরানো ছাড়াও পেসমেকার লাগানো যাবে। একই সঙ্গে শিশুদের জন্মগত হৃদরোগও নির্ণয় করা যাবে।
কম খরচে হাতের কাছে এনজিওগ্রাম ও রিং পরানোসহ হৃদরোগীদের অন্যান্য এমন সেবা পেয়ে দারুণ খুশি বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের রোগী ও তাদের স্বজনরা।
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল তথা সিলেট, সুনামগঞ্জ, রৌমারী ও কুড়িগ্রামসহ এ অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবার অন্যতম ভরসাস্থল।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তরিকুল ইসলাম খান ওয়াসিম গণমাধ্যমকে জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেলের হৃদরোগ বিভাগে ৫০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন দুই শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। জটিল রোগীদের ঢাকায় স্থানান্তর করার সময় নেওয়ার পথেই ঘটতো প্রাণহানির ঘটনা।
তিনি বলেন, এমন বাস্তবতায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হয় ৮ শয্যার কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব। এরপর করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় এটি আর চালু করা যায়নি। গত বছরের ২৮ মার্চ চালু হলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হলে কিছুদিন পর ক্যাথল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
ডা. তরিকুল ইসলাম খান ওয়াসিম জানান, গতকাল পুনরায় কার্যক্রম চালু হওয়ার প্রথম দিনেই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২ জন রোগীর এনজিওগ্রাম করা হয়। হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তাদের তিনজনকে রিং পরানো হয়। রোগীদের সবাই সুস্থ আছেন।
Discussion about this post