হার্টবিট ডেস্ক
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে সম্প্রতি জটিল মোটর নিউরন ডিজিজ বা ‘এমএনডি’ রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে সফলভাবে পিইজি টিউব স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এস এম আলী হায়দার’র তত্ত্বাবধায়নে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত এই পিইজি টিউব স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
জেলার চাঁদগাঁও আবাসিকের ৬৬ বছর বয়সী হারুন-অর-রশিদ শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে এভারকেয়ারে আসেন।
হাসপাতালের ওপিডি’তে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানা যায়, বিগত ছয় মাস যাবত রোগী ঠিকমতো কথা বলতে ও খাবার/পানীয় গিলতে পারছেন না এবং হঠাৎ হঠাৎ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে পরবর্তীতে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগী মোটর নিউরন ডিজিজ’এ (এমএনডি) আক্রান্ত হয়েছেন বলে ডাক্তাররা নিশ্চিত হন। এই রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা ও প্রতিষেধক না থাকায় রোগীর খাদ্য গ্রহণ ও পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে পিইজি টিউব স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এরপর এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এস এম আলী হায়দার’র তত্ত্বাবধায়নে এবং রোগী ও স্বজনদের সম্মতিক্রমে রোগীর শরীরে কোন জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে একটি পিইজি টিউব স্থাপন করা হয়।
রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এস এম আলী হায়দার জানান, মোটর নিউরন ডিজিজ’র অন্যতম উপসর্গ হলো; খাবার গিলতে ও কথা বলতে কষ্ট হওয়া, মুখ থেকে লালা নিঃসৃত হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হওয়া। হারুন অর রশিদ বিগত ৬ মাস ধরে এসব সমস্যায় ভুগছেন এবং যখন আমাদের কাছে আনা হয়, তার শারীরিক অবস্থা জটিল ছিল। এই রোগের কোন চিকিৎসা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, নির্দিষ্ট কোন ওষুধও নেই। এমতাবস্থায় যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণই কঠিন। তবে আমরা তার শরীরে পিইজি টিউব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেই, কারণ এটি শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহে সক্ষম এবং কোন মেডিক্যাল এক্সপার্ট ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। এটি ন্যাসোগ্যাস্ট্রিক ও অরোগ্যাসট্রিক টিউবের তুলনায় বেশি সহনশীল, সহজ এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য। অতঃপর সকলের সম্মতিক্রমে আমরা এই চিকিৎসা সম্পন্ন করি। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ডা. ফজলে আকবর বলেন, রোগীদের সর্বোত্তম সেবাদানের লক্ষে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আমরা সর্বোত্তম চিকিৎসা সরঞ্জাম ও দক্ষ চিকিৎসক দল নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকি। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত জটিল এমএনডি রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে সফলভাবে পিইজি টিউব স্থাপন সম্পন্ন করেছি আমরা; যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বড় একটি সাফল্য।
Discussion about this post