হার্টবিট ডেস্ক
নাগরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে উচ্চ রক্তচাপ স্ক্রিনিং কর্মসূচি চালু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। এর মাধ্যমে নাগরিকদের বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপ পরিমাপের পাশাপাশি ওজন পরিমাপ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধ প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসিফ হোসেন ডন।
মসিক জানায়, বাংলাদেশ নগর জনস্বাস্থ্য শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ছয়টি ভ্রাম্যমাণ দলের মাধ্যমে নগরীর ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্পটে এ সেবা শুরু হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে সিডিসি ও সেভ দ্য চিলড্রেন। সিটি করপোরেশনের ১, ৪, ৫, ৭, ৮, ৯, ১৫, ১৭, ১৯, ২৩, ২৪, ২৫, ২৭, ২৯ ও ৩২ নং ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম আগামী দুই মাসব্যাপী চলবে।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসিফ হোসেন ডন বলেন, অনেক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগলেও তাদের অধিকাংশই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। এই স্ক্রিনিং কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা তা নির্ণয় করা হবে। যাতে করে প্রাথমিকভাবে তারা নিজেদের শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন এবং পরবর্তীতে তারা যাতে মেডিকেল সাপোর্ট নিতে পারেন, সে লক্ষ্যেই মসিকের এ কর্মসূচি।
মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে যদি ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ থাকে তাহলে দেখা যায় হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে মনিটরিং এবং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি।
সিডিসির ইউএস কনসালটেন্ট ও সেফটি নেটের কান্ট্রি ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ হাসান আব্দুল্লাহ বলেন, শহরের জনস্বাস্থ্য শক্তিশালীকরণের জন্য আমরা এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। এই শহরে কী পরিমাণ মানুষের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে, তা আমরা নির্ধারণ করতে চাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী দুই মাসের শহরের ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের রক্তচাপ পরীক্ষা করা। পরীক্ষা করে আমরা দেখতে চাই, এই শহরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কতটুকু রয়েছে। এই ডাটাটি শহরের যারা নীতিনির্ধারক রয়েছেন তাদেরকে শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. তাসমিয়া জান্নাত।
Discussion about this post