হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসার সেবার পাশাপাশি একটি কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি’র সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করে শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরকরণ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি কিডনি ডায়ালইসিস সেন্টার করার বিষয়েও সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের বাস্তবায়নের ফলে এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, এ হাসপাতালে মোট ১৮টি আইসিইউ বেড রয়েছে। করোনাকালে মুমূর্ষু রোগীর জন্য ব্যবহার হতো। করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসায় আইসিইউ’র অধিকাংশ বেড শূন্য রয়েছে। এসব আইসিইউ বেডে নন-কোভিড জটিল রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবারের মান আগের তুলনায় উন্নত করা হয়েছে। জনবল সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত হবে।
টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগরের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক-টিআইবি’র সদস্য প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. রওশন আরা বেগম, সনাক-টিআইবি’র সহ-সভাপতি রওশন আরা চৌধুরী ও টিআইবি’র ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মো. জসিম উদ্দিন।
সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ‘কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট ও কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন সনাক-টিআইবি’র সদস্য অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস।
পরে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ শওকত আল-আমির ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মঞ্জু রানী দাশ প্রমুখ।
Discussion about this post