হার্টবিট ডেস্ক
উপজেলা পর্যায়ে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও সতর্কতার সঙ্গে দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের ব্যাপারে সুপরিকল্পিতভাবে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি (এসএইচএনআইবিপিএস)-এ সিক্সথ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন প্লাস্টিক সার্জারি-২০২২ এবং ‘মুজিব কর্নার’ ও ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে এবং ওই কমপ্লেক্সগুলোতে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা শহরে নয়, এর বাইরে যাতে অগ্নিদগ্ধরা চিকিৎসাসেবা পায় সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে আলাদা সম্পূর্ণ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে এই বিষয়ে বিশেষায়িত সেবা জনগণের দোরগোড়ায় যাতে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনাটাও আমরা নিচ্ছি। ’ ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং ফরিদপুরে ১০০ বেডের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এটা আমরা মনে করি প্রত্যেকটা বড় জেলা শহরে এই ব্যবস্থাটা আমাদের রাখতে হবে। ’
অগ্নিদগ্ধ রোগী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আগুনে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী করণীয় সেই বিষয়ে মানুষকে আরও বেশি সচেতন করার দরকার বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে প্রচারণা দরকার। সেটা আপনারা করবেন। একটা সচেতনতামূলক প্রচার আমাদের করতে হবে। ’
আগুনে পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে একেবারে শৈশব থেকে শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ করা বা রাখা বা ব্যবহার করা এবং এর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা কীভাবে নিতে হবে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা অগ্নিদগ্ধ হলে তাৎক্ষণিকভাবে কী করণীয়, প্রাথমিকভাবে কী করলে পরে পোড়া জায়গাটা আরও বেশি পুড়বে না বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এ বিষয় কিন্তু সাধারণ মানুষকে এবং আমি মনে করি যে স্কুল থেকে শিক্ষাটা দেওয়া উচিত। ’
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার এবং রান্নাঘরে কীভাবে সেটি ব্যবহার করতে হবে, সে বিষয়ে সবাইকে জানার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিটি ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘অবশ্য এখন এটা নেওয়া হচ্ছে। তার পরেও আমি বলব যে এ বিষয়ে যখন যে ভবন নির্মাণ হবে সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিতে হবে। ’
বার্ন ইনস্টিটিউটে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম প্রমুখ।
Discussion about this post