হার্টবিট ডেস্ক
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আরও দুই হাজার ৬২০ জন চিকিৎসক কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের এককালীন বিশেষ ভাতা প্রদানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলামের স্বাক্ষরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত বাদপড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের এককালীন বিশেষ সম্মানি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন নিম্নে বর্ণিত প্রতিষ্ঠান হতে তালিকা পাওয়া গেছে।’
চিকিৎসক কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা হলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) ৩৩৭ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ২২৬ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১১১ জন), শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ৯৩ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৭২ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ২১জন), এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ দিনাজপুরের ৪০ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১০ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৩০ জন), কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লার ৩০৯ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ২২৭ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৮২ জন), ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ৫৮ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ২৪ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৩৪ জন), সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ১১ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১১ জন), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ২০৪ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ২০৪ জন), রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) ২৩১ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৬৪ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১৬৭ জন), সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ৬৭ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৪৮ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১৯ জন) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারিশালের ৬৩১ (চিকিৎসক কর্মকর্তা ২১৫ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৪১৬ জন), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুরের ০৭ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ০৭ জন), শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের ১০৫ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৯০ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১৫ জন), আইইডিসিআর’র ৭৩ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১৩ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৬০ জন), জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকার ৬১ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১৯ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৪২ জন), শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরের ৭৪ (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৪৭ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ২৭ জন), ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জের ৮৬ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৪৭ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৩৯ জন), ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, নওগাঁর ৭৫ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৩৫ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৪০ জন), ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের ২৩ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১০ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১৩ জন), ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গাইবান্ধার ৩১ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ৮ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ২৩ জন), সদর হাসপাতাল পঞ্চগড়ের ৫৬ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১৭ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৩৯ জন), বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, উত্তরা, ঢাকার ১০ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ১০ জন), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেটের ৩৮ জন (চিকিৎসক কর্মকর্তা ২০ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১৮ জন)।
আদেশের অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ), আইইডিসিআর’র পরিচালক, সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষগণের কাছে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post