হার্টবিট ডেস্ক
ভারতের দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা সঙ্গীতা দেবী। বয়স ৩০। মাসখানেক আগেই তার বিয়ে হয় সুমন্ত কুমারের সঙ্গে। বিয়ের পর দেখা যায় অস্বাভাবিকভাবে ফুলতে শুরু করেছে সঙ্গীতার পেট। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার অর্ঘ্য মৈত্র জানান তার পেটে টিউমার ধরা পড়েছে।
সদ্য বিবাহিত সঙ্গীতার পেটে পাওয়া যায় বড় আকারের একাধিক টিউমার। সব মিলিয়ে প্রায় এক বালতি। জটিল এক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে টিউমারগুলো বের করেন কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা. অর্ঘ্য মৈত্র নিজেই।
সাড়ে চার ঘণ্টা চলে জটিল এই অস্ত্রোপচার। সঙ্গীতা দেবী এবং তার স্বামী সুমন্ত কুমার সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় এমন ‘মিরাকেল’ দেখে এক কথায় অভিভূত।
সুমন্ত বলেন, মাসখানেক আগে আমাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন পর লক্ষ্য করি, সঙ্গীতার পেট অস্বাভাবিকরকম ফুলতে শুরু করেছে। আমরা ন্যাশনালে এসে ডক্টর মৈত্রকে দেখাই। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল, ওকে ফিরে পাব কি না, যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। কিন্তু অপারেশনের পর সংগীতা এখন সুস্থ।
এ বিষয়ে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার অর্ঘ্য মৈত্র বলেন, এই ধরনের টিউমার বা ফাইব্রোসিস অপারেশন এখন হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ ছিল। মেয়েটি সদ্যবিবাহিত। ফলে ইউটেরাস বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই। কারণ তা করলে সন্তানধারণ সম্ভব নয়। এত প্রকাণ্ড সব ফাইব্রোসিস ছিল, যা বের করে আনার সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারত। তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শুরু হয় সঙ্গীতার অপারেশন। শেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডা. মৈত্র অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসেন। আট বোতল রক্ত দিতে হয় সঙ্গীতাদেবীকে।
Discussion about this post