হার্টবিট ডেস্ক
দেশে ১৯৯৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিরোধক ইনহেলারের ব্যবহার বেড়ে ৬৩ শতাংশে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে উপশমকারী ইনহেলার মেডিসিনের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় শতভাগে।
গত শুক্রবার( ১৮ মার্চ ) পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন বা ফুসফুসীয় পুনর্বাসন সপ্তাহ- ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সাইকেল র্যালি শেষে বক্তারা এসব কথা বলেন। পিওর ফোরাম ও ইনজিনিয়াস হেলথ কেয়ার লিমিটেড এ র্যালির আয়োজন করে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, ১৯৯৯ সালে যখন দেশে প্রথম ন্যাশনাল অ্যাজমা প্রিভ্যালেন্স স্টাডি হয়েছিল, তখন দেশে ইনহেলার মেডিসিন ব্যবহার ছিল ১ শতাংশেরও কম, উপশমকারী ইনহেলারের ব্যবহার ছিল ১১ শতাংশ। দেশব্যাপী জনসচেতনতা কার্যক্রমের পর এখন প্রতিরোধক ইনহেলার মেডিসিন ৬৩ শতাংশ এবং উপশমকারী ইনহেলার প্রায় শতভাগে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, অ্যাজমা, সিওপিডি রোগীরা এখন বুঝে গেছেন, তাদের সুস্থ থাকার জন্য ইনহেলার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। ফুসফুসের রোগ থেকে বাঁচতে শুধু চিকিৎসা নয়, কিছু সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মুক্ত বায়ু সেবন, নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি ধূমপান পরিহার করতে হবে। সেই লক্ষ্যে ফুসফুসীয় পুনর্বাসন জরুরি। সেই সচেতনতা বাড়াতেই দেশব্যাপী এ কার্যক্রম চলছে।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারী একুশে পদকপ্রাপ্ত তারকা অভিনেতা আফজাল হোসেন বলেন, অর্থ-বৈভব যতই থাকুক, জীবন ও করণীয় সম্পর্কে বুঝতে হবে। প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। মানবদেহে ফুসফুস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধের বাইরেও ফুসফুসকে ভালো রাখা সম্ভব যদি শারীরিক মুভমেন্ট ঠিক রাখা যায়।
সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ আসলাম বলেন, ফুসফুসকে সুস্থ রাখার বিকল্প নেই। এ কারণে ধূমপান পরিহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এ ধরনের সচেতনতা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক হাসানুজ্জামান বাবলু, ড. অজয় কুমার ও ড. রওশন আলম। র্যালিতে তিন শতাধিক সাইক্লিস্ট অংশ নেন।
এর আগে গত ১২ মার্চ মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ‘পিওর ফোরাম’ আয়োজিত ‘ফুসফুসীয় পুনর্বাসন’ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর ১৩ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় ও মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ফুসফুসের সুরক্ষায় ফুসফুসীয় পুনর্বাসন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং একইসাথে চিকিৎসকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুজিব শতবর্ষে দেশে পিওর ফোরামের আয়োজনে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ফুসফুসীয় পুনর্বাসন সপ্তাহ ২০২২।
Discussion about this post