হার্টবিট ডেস্ক
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হবে এবারের জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে।
আগামী ২০ মার্চ থেকে এ কর্মসূচির আওতায় ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি বলেন, “কৃমি আক্রান্ত হলে ছেলেমেয়েদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। কৃমি তার শরীরের পুষ্টি খেয়ে ফেলে। আমাদের আহ্বান থাকবে সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচিতে অংশ নিন। অভিভাবকদের বলব, আপনারা বাচ্চাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে নজর দিন। তাহলেই কৃমি প্রতিরোধে করা যাবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের মধ্যেই কৃমিতে ভোগার প্রবণতা বেশি থাকে। শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সীদের মধ্যে কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার হার ৭ শতাংশ। ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৩২ শতাংশ; ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ; ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৭ শতাংশ; ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই হার ৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপের ফলাফলের বরাত দিয়ে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৃমি নিয়ন্ত্রণে ২০০৮ সাল থেকে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি রাউন্ডে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ শিশুকে কৃমির ওষুধের আওতায় আনা গেছে।
শিশুদের মল পরীক্ষায় ২০০৫ সালে কৃমির উপস্থিতি ছিল ৮০ শতাংশ। সবশেষ ২০১৯ সালের জরিপে তা নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।।
Discussion about this post