হার্টবিট ডেস্ক
থাইরয়েডের সমস্যায় বিশ্বে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আক্রান্তের মধ্যে নারী-পুরুষের পাশাপাশি রয়েছে শিশুরাও। শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার পেছনে জন্মগত ত্রুটিও একটি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি আপনার শিশু সারাক্ষণই ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে তা হতে পারে থাইরয়েডে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক শিশুর জন্ম থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়।
এ ক্ষেত্রে শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো পরিণত হয় না। ফলে অপরিণত থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েডের জোগানও দিতে পারে না। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সবটাই পিছিয়ে থাকে। তাই শিশুর মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কি না, সেটা জানার জন্য মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত শিশুরা দিনের বেশির ভাগ সময়ই ঘুমাতে থাকে এবং একেবারেই খেতে চায় না। এ ছাড়া থাইরয়েডে আক্রান্ত শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে ভুগতে পারে। তাদের কম মাসল টোন, ঠান্ডা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং স্নায়বিক বিকাশ দুর্বল থাকতে পারে।
জন্মের সময় কোনো শিশুর থাইরয়েড সমস্যা থাকলে তার স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভালো। প্রথম থেকেই এর চিকিত্সা শুরু করা হলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাই জন্মের পর শিশুদের বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তারা মনে করেন, শিশুর জন্মের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে হিল প্রিক ব্লাড টেস্ট, টিএসএইচ টেস্ট এবং সিএইচটি টেস্ট করানো উচিত।
সূত্র: বোল্ড স্কাই
Discussion about this post