হার্টবিট ডেস্ক
খুলনা শিশু হাসপাতালে উপহার হিসেবে একটি অত্যাধুনিক লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স (আইসিইউ) দিয়েছে ভারত সরকার।
গত বুধবার( ৯ মার্চ) সকাল ১০টায় অ্যাম্বুলেন্সটি খুলনা শিশু হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় ভারত সরকারের পক্ষে খুলনাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী রাজেশ কুমার রায়না খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা শিশু হাসপাতাল এডহক কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের নিকট অ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করেন।
হস্তান্তর পরবর্তীতে অতিথিবৃন্দ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। লাইফ সার্পোট অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এ সময় অতিথিদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. কামরুজ্জামান।
হাসপাতালটি মডেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় প্রধান অতিথি উপস্থিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্প হিসেবে খুলনা শিশু হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। স্থানীয় লোকহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ, প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের যৌথ প্রচেষ্টায় খুলনা শিশু হাসপাতাল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিশুদের চিকিৎসার আশ্রয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় কম খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ফলে খুলনা এবং খুলনার আশপাশের জেলাগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার ভারও শিশু হাসপাতাল সফলভাবে বহন করছে প্রায় চার দশক ধরে। হাসপাতালটিতে ভারতের দেওয়া উপহার অ্যাম্বুলেন্সটিসহ মোট ৩টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা শিশু হাসপাতাল এডহক কমিটির সদস্য এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. আলী আকবর (টিপু), খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস. এম নজরুল ইসলাম, দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিকুর রহমান খান, খুলনা শিশু হাসপাতালের উপ-তত্ত্বাবধায়ক ডা. অনুপ কুমার দে, আরএমও ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, আইএমও ডা. আরিফুল কামাল রাসেলসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
Discussion about this post