হার্টবিট ডেস্ক
বর্তমানে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে আমরা কিডনির প্রাথমিক সেবার চালুর পরিকল্পনা নিয়েছি। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এর কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) কিডনি ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও। চিকিৎসা সেবায় অনেক অগ্রগামী হয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একা কিছু করতে পারবে না। যদি চিকিৎসকরা এগিয়ে না আসেন। তাই চিকিৎসকদের তাদের পেশায় আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে।
সভায় কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান।
অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমানে দেশে দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ও ব্লাড প্রেসারের রোগী। তাই এ দুটি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে কিডনি রোগ অনেকটা কমিয়ে আানা সম্ভব।
এ ছাড়া কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, যাদের কিডনি রোগ আছে, তাদেরকে অবশ্যই ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্ত শূন্যতা থাকলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শামিম আহমেদ বলেন, বিশ্ব কিডনি দিবসের উদ্দেশ্যে হলো মানুষকে সচেতন করা। ডায়বেটিস এর কারণে কিডনি নষ্ট হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ভুল এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের কারণে ৪০ শতাংশ মানুষের কিডনি বিকল হয়ে যায়।
অধ্যাপক মহিবুল ইসলাম বলেন, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের প্রত্যেকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কিডনি রোগের চিকিৎসার চেয়ে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা বেশি জরুরি। তাই প্রতি বছর অন্তত একবার কিডনি পরীক্ষা করা উচিত।
Discussion about this post