হার্টবিট ডেস্ক
আজ বিশ্ব কিডনি দিবস।ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশনস ২০০৬ সাল থেকে মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটির উদ্দেশ্য হলো কিডনির অসুখ নিয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হবে। চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য- জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।
প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বানীতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিডনি রোগীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘দেশের অনেক হাসপাতালে এ রোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিডনি রোগীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বানীতে বলেছেন, ‘কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। সুস্বাস্থ্যের জন্য সুস্থ কিডনির বিকল্প নেই। অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।’ তিনি আশা করেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবেন।
কিডনি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসাপাতাল রাজধানীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
Discussion about this post