হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে র্যালিটি বের হয়ে বড় মসজিদ হয়ে ৬ নম্বর সড়ক দিয়ে আবারও আই হসপিটালে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. সালেহ আহম্মেদ, চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এস এম মনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মৌটুসী ইসলাম, ডা. রুবিনা আক্তার, ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বী, ডা. তাসরুবা শাহনাজ, ডা. এমডি রিপন আলী ও এইচআর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আহসান হাবীব প্রমুখ।
বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে ৬ থেকে ১২ মার্চ প্রতিদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিনামূল্যে গ্লুকোমা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গ্লুকোমা সপ্তাহের ক্যাম্পেইনের সময় আগত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসায় ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে হসপিটালটি।
ডা. মো. সালেহ আহম্মেদ বলেন, দেশের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষ চোখের রোগ গ্লুকোমা সম্পর্কে জানেন না। তাদের সচেতন করতেই এই র্যালী করা হয়েছে। যেকোনো মানুষের এই রোগ হতে পারে। জন্মগত ভাবে এবং যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি। ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের হঠাৎ করে এই রোগ হতে পারে। বিশ্বের ১ দশমিক ৫ শতাংশের কম অন্ধত্ব গ্লুকোমার কারণে।
তিনি আরও বলেন, গ্লুকোমা রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। এটি নিরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নিরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। তাই প্রত্যেকের উচিত নিয়মিত চোখের প্রেসার, দৃষ্টিশক্তির পরিসীমা পরিমাপ, অপটিক নার্ভ, রেটিনা ও কর্নিয়ার পুরুত্ব মাপা এবং ইউবিএম পরীক্ষা করা।
জানা যায়, বিশ্বের প্রায় সাত কোটির বেশি মানুষ গ্লুকোমা রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের শতকরা প্রায় তিন জনের গ্লুকোমা রয়েছে।
গ্লুকোমা নিয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তের চাপের মতো চোখেরও একটি নির্দিষ্ট চাপ থাকে। চোখের স্বাভাবিক চাপ ১০-২০ মিমি মারকারি। কোনো কারণে এ চাপ বাড়লে চোখের অপটিক নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং আস্তে আস্তে নার্ভটি শুকিয়ে যায়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা কমতে থাকে। এক পর্যায়ে চোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থাই গ্লুকোমা।
Discussion about this post