হার্টবিট ডেস্ক
দেশে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তা সত্ত্বেও সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এখনই মাস্ক খুলে ফেলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ সতর্কবার্তা দেন অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ও অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটা স্টেবল বা স্বাভাবিক পর্যায়ের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পেরেছি। গত সাতদিনের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারিতে চার শতাংশের মতো শনাক্তের হার ছিল, কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারিতে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ, ধীরে ধীরে তা তিন দশমিক ৩৫ শতাংশ হয়েছে। এভাবে কমতে কমতে গতকাল শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ১১ শতাংশ।
অর্থাৎ, এই প্রথম চলতি বছরে দুই থেকে তিন শতাংশের ঘরে রয়েছে শনাক্তের হার। এভাবে যদি সংক্রমণ কমতে থাকে তাহলে অচিরেই আমরা দুই শতাংশের নিচে চলে আসতে সক্ষম হবো—বলে আশাবাদী।
তবে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দীর্ঘদিন আমাদের এগুলো মেনে চলতে হবে। এখনি মাস্ক খুলে ফেলার মতো কোনও কিছু হয়নি জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আমরা দেখেছি, ইতোমধ্যে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ভাবছেন, এর প্রভাব কমে গিয়েছে। রোগী শনাক্ত এবং নমুনা পরীক্ষা কমে গিয়েছে। এজন্য অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না বা মাস্ক খুলে ফেলার পেছনে যুক্তি দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের খেয়াল করতে হবে, গতকালও ( ৫ মার্চ) ১৩ জন মানুষের মৃত্যু এবং ৩৬২ জন শনাক্ত হবার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
তিনি বলেন, কিন্তু ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, ভাইরাসের এখনো ইভোল্যুশন হচ্ছে। আবারও নতুন করে কোনও ভ্যারিয়েন্ট আসবে কিনা সে শঙ্কাটা থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের যেসব নতুন নতুন উপধরন বিএ.২ বা অন্য কিছু, তা চলে আসার আশঙ্কা থাকবে।
আমাদের যেসব রিস্কি গ্রুপে থাকা সদস্যদের যেমন- ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ক্যানসারের রোগী তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনও সিরিয়াস হতে পারে, বলেন অধ্যাপক রোবেদ আমিন।
Discussion about this post