হার্টবিট ডেস্ক
করোনায় আক্রান্তদের ৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় সবগুলোতেই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। যা শতকরা হিসেবে ১০০ শতাংশ। ফলে দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা দখল করেছে ওমিক্রন।
রোববার (৬ মার্চ) আইসিডিডিআরবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আইসিডিডিআরবির ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে মোট ১২০ জনের করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৭৪ জনের নমুনা সিকোয়েন্স করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, সবগুলোতেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যার প্রায় অধিকাংশই ওমিক্রন বিএ.২ (৭১টি)। বাকি ২টি নমুনায় ওমিক্রন বিএ.১.১ এবং একটিতে ওমিক্রন বিএ.১ শনাক্ত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ৭০টি নমুনা সংগ্রহ হলেও নমুনা সিকোয়েন্স করা হয়েছে ৪৭টির। এর মধ্যে ৪৪টিতেই ওমিক্রনের বিএ.২ উপধরন, ২টিতে ওমিক্রন বিএ.১.১ এবং একটিতে ওমিক্রন বিএ.১ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগে ৯টি নমুনার সবগুলোই সিকোয়েন্স করে ৯টিতেই ওমিক্রনের বিএ.২ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে যথাক্রমে সিকোয়েন্স করা হয়েছে ছয়টি করে নমুনা। ফলাফলে সবগুলোতেই ওমিক্রনের বিএ.২ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত আইসিডিডিআরবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে বসবাসরত ৪৮ জন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ৪৭টিতেই ওমিক্রনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। বাকি একজনের নমুনায় পাওয়া গেছে ডেল্টা ধরন; শতকরা হিসাবে যা ২ শতাংশ।
ওই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনের বিএ.২ উপধরনে আক্রান্ত হয় ৮৩ শতাংশ। আর বাকি ১৭ ভাগ রোগী বিএ.১ উপধরনে আক্রান্ত হয় বলেও জানিয়েছিল আইসিডিডিআরবি।
Discussion about this post