হার্টবিট ডেস্ক
‘রোগী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পেছনে সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা অনেকটা দায়ী। যদি হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা যায় তাহলে এই ভুল বোঝার হার কমে যাবে এবং সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসা সেবা পাবে।’
শুক্রবার (৪ মার্চ ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ডক্টর’স ফোরাম (বিডিএফ) আয়োজিত প্রথম সামিটে এ মন্তব্য করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আলোচনার মাধ্যমে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য সমাধানের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাডার সার্ভিসে কোনো বৈষম্য থাকা উচিত নয়। আমাদের আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয়ে সমাধানে আসতে হবে। হাসপাতালের সামনে একজন চিকিৎসক যখন রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন সেটি আমাদের জন্য খুবই খারাপ দেখায়। অন্য ক্যাডারের সমমর্যাদার প্রশাসক যদি গাড়ির সুবিধা পান, তাহলে চিকিৎসকদের ব্যাপারেও আমাদের ভেবে দেখার সময় হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরেটস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘হাসপাতালের কিছু সেবায় সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট হতে পারে না। এর জন্য চিকিৎসকরা সব সময় দায়ী নয়। এটি হাসপাতাল ব্যাবস্থাপনার ব্যর্থতা। এর জন্য প্রশাসনিক সমন্বয় দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মস্থলে চিকিৎসকদরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে চিকিৎসকরা মনোবল হারিয়ে ফেলে। চিকিৎসকরা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে, তবে সাধারন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে। ফলে এটি কাটিয়ে উঠতে হবে উটতে হলে সামাজিক সচেতনতা ও রাজনৈতি দলগুলোর বিশেষ ভূমিকার রাখতে হবে।’
Discussion about this post