হার্টবিট ডেস্ক
শুধু মুখের ত্বকে নয়, মাথার ত্বকেও ব্রণ দেখা যায়। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘স্ক্যাল্প পিম্পল’। এটি এক ধরনের ফলিকুলাইটিস বা চুলের ফলিকলের জ্বালা ভাব। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হতে পারে। তবে যে কারণেই হোক, প্রথম দিকে গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে কিন্তু পরে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যেতে পারে। মুখের ত্বকে সাধারণত সেবাম বা মৃত ত্বকের কোষের কারণে ছিদ্রপথ আটকে গেলে ত্বকে ব্রণ হয়। মাথার ত্বকে এই একই কারণে ব্রণ হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজার চলতি প্রসাধনীর ওপর ভরসা রাখেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। তাই ত্বকে হোক বা মাথার ব্রণ, সারাতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে।
* সবার প্রথমে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখাটা ভীষণ জরুরি। সেই সঙ্গে চুলও। কোনো কারণে চুলে জেল, স্প্র্রে ইত্যাদি ব্যবহার করলে বাড়ি ফিরে তা দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে।
* টপিক্যাল রেটিনয়েড এবং বেনজয়িল পেরক্সইডের ব্যবহারে মাথার ত্বকের ব্রণ দ্রুত কমবে। এ ছাড়াও ফলিকুলাইটিসের চিকিৎসায় টপিক্যাল স্টেরয়েড ক্রিম এবং অ্যান্টিহিস্টামাইন ব্যবহার করতে পারেন।
* সালফার ও স্যালিসিলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দিয়ে তৈরি শ্যাম্পুও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
* চুলে অতিরিক্ত তেল দেওয়া বা চুল শুকানোর যন্ত্র বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। চুল কৃত্রিমভাবে সোজা করার যন্ত্র ব্যবহার করলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে।
* তেলজাতীয় কন্ডিশনার বা শ্যাম্পুর ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ কন্ডিশনারে থাকা তেল মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় ব্রণের প্রবণতা।
Discussion about this post