হার্টবিট ডেস্ক
নতুন জুতো পরে হাঁটাহাটি করলে অনেকসময়ই গোড়ালির পিছন দিকে কিংবা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়ে। এক বার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী কয়েকদিন দিন হাঁটা চলা করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
এ ধরনের সমস্যা কমাতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. অ্যালো ভেরা ফোস্কা সারাতে দারুণ কার্যকর। অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ফোস্কাতে ভাল করতে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। জেল শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার লাগালেই অনেকটা আরাম পাবেন।
২. গ্রিন টি-তে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডোবান। তার পর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। টি ব্যাগটি নিয়ে ফোস্কার জায়গায় বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডায থাকা অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। দিনে দুই থেকে তিন বার এই প্রক্রিয়াটি করলেই সুফল মিলবে।
৩. ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগারও ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ-ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি সংক্রমণ বিস্তার হতে দেয় না।। অ্যাপল সিডার ভিনেগারে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থানে হালকা হাতে চেপে কিছু ক্ষণ ধরে রাখুন। এই প্রক্রিয়াটি করার সময় সামান্য জ্বালা করতে পারে। কিন্তু এটি ফোস্কা নিরাময়ে বেশ উপকারী।
৪. ক্ষত স্থানে নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। নারকেল তেল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন। দিনে দু’বার ১৫ মিনিট হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। তার পর ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। উষ্ণ গরম পানি ব্যথা এবং সংক্রমণকে প্রশমিত করতে বেশ উপকারী।
৫. ফোস্কার ব্যথা কমাতে লবণও ব্যবহার করতে পারেন। হালকা গরম পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এ বার সেই পানি দিয়ে ফোস্কার জায়গায় সেঁক দিন । এই উপায় ফোস্কার যন্ত্রণা ও ফোলাভাব কমে যাবে। ক্ষতও দ্রুত নিরাময় হবে।
Discussion about this post