হার্টবিট ডেস্ক
বৃহস্পতিবার( ২৪ ফেব্রুয়ারি ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে মৌলিক গবেষণা নিয়ে আয়োজিত এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশেই রোগ প্রতিরোধ ও মৌলিক গবেষণায় নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করা হবে।
উপাচার্য বলেন, দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিডিডিআর’বিসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ফুড সেফটি, ড্রাগস সেফটির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। গবেষণা কার্যক্রমকে জোরদার করতে অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন, রিসার্চ স্ট্র্যটিজি জোরদার করা, রিসার্চ গ্রুপ তৈরি করা, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় ইমেরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, গবেষণা হতে হবে সত্যিকার অর্থে মানসম্মত। পেশেন্ট কেয়ার, টিচিং, রিসার্চ ভাগ করে কাজ করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে। চিকিৎসকরা শুধু টাকার জন্য রোগী দেখেন না। রোগীদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন সেটাও আমাদের স্মরণে রাখা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, একজন গবেষক আজীবন একটি নিদিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করবেন, তাহলেই আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা কর্ম নিশ্চিত করা যাবে। গবেষণার ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া একটি অন্তরায় যার পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন। কোনো প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকার বিষয় কি তা নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।
বক্তারা ক্লিনিক্যাল রিসার্চ, মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা, গবেষণা কর্মে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় ফান্ড নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় ডেটার অভাব দূর করা, গবেষকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের জন্য গবেষণা সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি করা, গবেষণা কর্মে বিশ্বমানের গবেষকদের অন্তর্ভুক্ত করা, কমিউনিকেশন টিম গঠন করা, ভ্যাকসিন বিষয়ক গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া, মাল্টিডিসিপ্লিনারি কো-অপারেটিভ অ্যাকশন নিশ্চিত করা, রেফারেল ল্যাবরেটরিসহ এ সংক্রান্ত সুবিধাদি নিশ্চিত করাসহ মূল্যবান মতামত দেন।
Discussion about this post