হার্টবিট ডেস্ক
অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, যারা নিয়মিত মাছ-মাংস খান তাদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গেঁটে বাত হতে পারে।
মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। খাওয়া-দাওয়া একটু নিয়ন্ত্রণ করলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনও ধারণা নেই। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন-
১. শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বার বার প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে। তবে বার বার প্রস্রাব ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে বেশি প্রস্রাব থেকে বের হতে পারে রক্তও। এ ছাড়া, হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।
২. ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। এই জ্বালা এতটা বেশি হয় যে অনেকে প্রস্রাবের চাপ আসলেও বাথরুমে যেতে চান না। এর থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোমল পানীয়, অ্যালকোহল পান করা ঠিক নয়। ধূমপানও এড়িয়ে চলতে হবে। যারা এই সমস্যায় ভূগছেন তাদের পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটোর মতো সবজি না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি, অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন বেশি থাকলেও এই রোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সঠিক খাদ্যাভাসের পাশাপাশি শরীরচর্চা করাও জরুরি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Discussion about this post