হার্টবিট ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যেই সেবা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে তাদের অনেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। স্বাস্থ্যখাতের এই সম্মুখসারির কর্মীদের সাহসিকতা ও সহমর্মিতার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যতিক্রমী ভ্রাম্যমাণ শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ‘হিরোজ অফ আওয়ার টাইম’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়।
আইএসডি জানিয়েছে, চলমান বৈশ্বিক মহামারিতে সবাইকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যসেবাখাত সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টা ও সহায়তার জন্য তাদের প্রতি সম্মান জানাতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইএসডির ভিজ্যুয়াল আর্ট টিচার ও পারসোনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ব্রিজেট মুতাসা বলেন, দুই বছর সময়ের ব্যবধানে কোভিড-১৯ আমাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এ সময়ে অনেকের বাসায় নিরাপদে থাকার সুযোগ হলেও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা কোনো বিরতি ছাড়াই সেবা দান করে গেছেন। ভ্রাম্যমাণ এ শিল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অবিরাম প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সংহতি, সাহস এবং উদারতার চেতনার প্রতিফলন ঘটায় এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেছে।
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউল বলেন, আইএসডি স্কুলের এই মহৎ উদ্যোগের অংশীদার হতে পারা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টাকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সৃজনশীলভাবে তাদের প্রতিভা দিয়ে উপস্থাপন করেছে।
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার মেডিকেল সার্ভিসেসের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. আরিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের এভারকেয়ার হসপিটালে আইএসডি স্কুলের এ চমৎকার চিত্রকর্ম প্রদর্শনী দেখে অত্যন্ত আনন্দিত। কোভিডের বৈশ্বিক মহামারি আমাদের শিশুদেরই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। এই প্রতিকূল সময়ে, আইএসডির শিক্ষার্থীরা নিবেদিতভাবে তাদের চিত্রকর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। আমি তাদের মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং তাদের সাফল্য কামনা করি।
এভারকেয়ার হসপিটালের ভেতরে ১০টি স্থানে বিভিন্ন বোর্ডে চিন্তা-উদ্রেককারী এ শিল্পকর্মগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। তৃতীয় থেকে দশম গ্রেডের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও আইএসডির কর্মীরা অনুপ্রেরণাদায়ক শিল্পকর্ম তৈরিতে এগিয়ে এসেছেন। শিল্পকর্মগুলোয় সহানুভূতি, মানবতা এবং বীরত্বের বিভিন্ন আখ্যান ফুটে উঠেছে। আরও বেশি মানুষ যাতে এ শিল্পকর্মগুলো উপভোগ করতে পারেন, এ জন্য আইএসডি এ প্রদর্শনীটি শিগগিরই আরও অনেক স্থানে আয়োজন করবে।
Discussion about this post